পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি দ্য পেনিনসুলা চিটাগং লিমিটেডের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) রাজস্ব বাড়লেও কর-পরবর্তী নিট মুনাফা কমেছে। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির রাজস্ব বেড়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ। অন্যদিকে নিট মুনাফা কমেছে ৫৩ শতাংশ।
আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে পেনিনসুলা চিটাগংয়ের রাজস্ব আয় হয়েছে ১৯ কোটি ৯৭ লাখ ১০ হাজার টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৭ কোটি ৬৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এ হিসাবে প্রথমার্ধে কোম্পানিটির রাজস্ব বেড়েছে ২ কোটি ২৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা বা ১২ দশমিক ৯৮ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে প্রতিষ্ঠানটির নিট মুনাফা হয়েছে ৩ কোটি ৫৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। এ হিসাবে হিসাব বছরের প্রথম ছয় মাসে নিট মুনাফা ৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বা ৫৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ কমেছে পেনিনসুলা চিটাগংয়ের। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩০ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬৪ পয়সা।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) পেনিনসুলা চিটাগংয়ের ইপিএস হয়েছে ১৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৩ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ১৮ পয়সা।
সর্বশেষ সার্ভিল্যান্স রেটিং অনুসারে দ্য পেনিনসুলা চিটাগং লিমিটেডের ঋণমান ‘ডাবল এ থ্রি’। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও চলতি বছরের ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটির ব্যাংক দায়সহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ মূল্যায়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ (সিআরএবি)।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৭ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে পেনিনসুলা চিটাগং। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৮৭ পয়সা। ৩০ জুন এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৬৩ পয়সা।
এর আগের হিসাব বছরের (২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত) জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল পেনিনসুলা চিটাগং। সে হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ৬২ পয়সা, আগের বছর যা ছিল ৫৩ পয়সা। ২০১৭ হিসাব বছরেও ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল তারা। এছাড়া ২০১৬ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বৃহস্পতিবার পেনিনসুলা চিটাগং শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ১৮ টাকা ২০ পয়সা। সমাপনী দর ছিল ১৭ টাকা ৬০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ১৬ টাকা ১০ পয়সা ও ৩১ টাকা ৯০ পয়সা।
২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পেনিনসুলা চিটাগংয়ের অনুমোদিত মূলধন ৩০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১১৮ কোটি ৬৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১৫১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১১ কোটি ৮৬ লাখ ৬৬ হাজার ৮০০। এর মধ্যে ৪৫ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ২১ ও সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের কাছে বাকি ৪৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। কোম্পানিটির সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস ও বাজারদরের ভিত্তিতে এ শেয়ারের মূল্য-আয় (পিই) অনুপাত ২০ দশমিক ২৩, হালনাগাদ প্রান্তিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ২৯ দশমিক ৩৩।
শেয়ারবার্তা / আনিস