দেশের গার্মেন্টস খাত বর্তমানে সংকটের মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছেন এ খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রপ্তানি কমে গেছে পূর্বের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এ খাতের নানামুখী চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে তিনি বলেন, গত ছয় মাসে ৬৯টি গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। একই সময়ে নতুন করে ৫৩টি কারখানা চালু হয়েছে বলেও জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা অনেকে না বুঝে এ ব্যবসায় চলে এসেছি বা আসছি।
অবশ্য গার্মেন্টস খাতের এ সংকট দীর্ঘস্থায়ী হবে না বলে মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, যিনি নিজেও একজন গার্মেন্টস উদ্যোক্তা। তিনি বলেন, আমাদের টিকে থাকতে হবে। এই টিকে থাকার জন্য সরকার সহযোগিতা করে যাচ্ছে। গতকাল বুধবার রাজধানীর কুড়িলে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) গার্মেন্টসের এক্সেসরিজের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, কেমিক্যাল ও প্রযুক্তির প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফেকচারার অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ) এবং এএসকে ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল যৌথভাবে ঐ প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী ও বিজিএমইএ সভাপতি গার্মেন্টস এবং এ খাতের এক্সেসরিজ খাতকে অভিন্ন হিসেবে দেখার ওপর জোর দেন। বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, গার্মেন্টস খাত না থাকলেও এক্সেসরিজও থাকবে না।
বিজিএপিএমইএ সভাপতি আব্দুল কাদের খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন খাতের প্রতিনিধিরা তাদের মতামত তুলে ধরেন। আব্দুল কাদের খান এ খাতের বিদ্যমান পরিস্থিতির উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে পোশাক খাত সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব দেন। এছাড়া মধ্য এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ, পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়হীনতা দূরীকরণ, স্থানীয় পর্যায়ে মূল্য সংযোজনে ডলারপ্রতি অতিরিক্ত পাঁচ টাকা বিনিময় হার নির্ধারণের দাবি জানান তিনি।
এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী পূর্বাচলে স্থায়ী বাণিজ্য মেলার কার্যক্রম আগামী মে মাস নাগাদ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, চলতি বছরের মাঝামাঝিতে মে মাসে পূর্বাচলে নিজস্ব স্থায়ী প্রদর্শনী কেন্দ্র পেয়ে যাবেন। আগামী বছর থেকে পূর্বাচলে সুন্দর পরিসরে এ ধরনের প্রদর্শনীর আয়োজন করা যাবে।
শেয়ারবার্তা / মিলন