আগের দুই দিনের বড় ধসে বিনিয়োগকারীরা যখন দিশেহারা, তখন বুধবার (১৫ জানুয়ারি) লেনদেনের শুরুতে বড় উত্থানের ইঙ্গিতে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে। এদিন লেনদেনের শুরুতে গ্রামীণফোনে ভর করে আধাঘন্টায় দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বাড়ে ৮৩ পয়েন্ট। তবে দিন শেষে গ্রামীণফোনের পতনের কারনে সেই বড় উত্থান ধরে রাখা সম্ভব হয়নি।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সরকারি ৪ ব্যাংককে অর্থ মন্ত্রণালয়ের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের নির্দেশের খবরে বুধবার শুরু থেকেই উত্থানে ছিল শেয়ারবাজার। যা দিন শেষেও বহাল রয়েছে। তবে গ্রামীণফোনের কারনে বড় উত্থান হওয়া সম্ভব হয়নি। কোম্পানিটির শেয়ার সকালে ৮ টাকা বাড়লেও দিন শেষে ২.৮০ টাকা কমে দাড়িঁয়েছে ২৩১.৪০ টাকায়।
এদিন ডিএসইর মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩২ পয়েন্ট বেড়ে দাড়িঁয়েছে ৪০৬৮ পয়েন্ট। যা সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ৮৯ পয়েন্ট ও মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ৮৭ পয়েন্ট কমেছিল।
বুধবার ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৭ পয়েন্ট ও ডিএসই-৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯১৪ ও ১৩৭১ পয়েন্টে। ডিএসইর চালু হওয়া নতুন সূচক সিডিএসইটি ৭ পয়েন্ট বেড়ে ৮২৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
ডিএসইতে আজ টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২৪২ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। যা আগের দিন থেকে ১৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৬২ কোটি ৮১ লাখ টাকার।
ডিএসইতে আজ ৩৫৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২১০টির বা ৫৯.৪৯ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ৯৪টির বা ২৬.৬৩ শতাংশের এবং ৪৯টি বা ১৩.৮৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ৯৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৩৯৩ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৩২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১২৫টির, কমেছে ৭৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির দর। আজ সিএসইতে ৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
শেয়ারবার্তা/ সাইফুল