পুঁজিবাজারে ভয়াবহ পতন অব্যাহত রয়েছে। গত দুদিন ধরে বাজারে বড় পতন চলছে। দুদিনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ১৭৬ পয়েন্ট। সূচক এখন চার হাজার পয়েন্টের নিচে নামার অপেক্ষায়। পতনের গতি অব্যাহত থাকলে আজই সূচক নেমে যাবে চার হাজার পয়েন্টের নিচে।
গত বছরজুড়ে বাজারে ধীরে ধীরে পতন নেমে এসেছে। আর চলতি বছরে সে পতনের গতি কয়েকগুণ বেড়েছে। কারণ চলতি বছরে মাত্র দুদিন সূচক ইতিবাচক ছিল। ২০১৯ সালের ১৪ জানুয়ারি ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল চার লাখ ১৩ হাজার ৭২৮ কোটি টাকা। আর গতকাল তা দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ১৩ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকায়। এক বছরে বাজার মূলধন কমেছে ৯৯ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকা বা প্রায় এক লাখ কোটি টাকা। ডিএসইএক্স সূচক কমেছে এক হাজার ৮০০ পয়েন্ট। ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক কমেছে ৪১৯ পয়েন্ট। ডিএস৩০ সূচক কমেছে ৬৬৪ পয়েন্ট। তিন সূচকই তাদের প্রথমদিনের অবস্থান থেকে নিচে নেমে যাওয়ায় বাজার এখন উল্টোপথে চলছে।
গতকাল ডিএসইতে ৮২ দশমিক পাঁচ শতাংশ কোম্পানির দর কমেছে। বেড়েছে মাত্র ৯ শতাংশের দর। মোট লেনদেনের ১৩ শতাংশ ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাতে। এ খাতে দর বেড়েছে একমাত্র জেড ক্যাটেগরির ইমাম বাটনের। বীকন ফার্মার ১০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দরপতন হয় চার টাকা। স্কয়ার ফার্মার সাত কোটি ৯১ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দরপতন হয় ছয় টাকা ৪০ পয়সা। প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয় ১২ শতাংশ। এ খাতে চার কোম্পানির দর বেড়েছে। এর মধ্যে বিএসআরএমের দর ৭০ পয়সা, কেঅ্যান্ডকিউ এক টাকা ১০ পয়সা, রেনউইক যজ্ঞেশ্বরের দর ১৮ টাকা ১০ পয়সা ও সিঙ্গার বিডির দর ১০ পয়সা বেড়েছে।
বস্ত্র খাতে লেনদেন হয় ১১ শতাংশ। এ খাতে ১২ কোম্পানির দর বেড়েছে। নিউ লাইন ক্লোথিংস দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের মধ্যে উঠে আসে। রিং শাইনের সাড়ে ছয় কোটি টাকা লেনদেন হলেও দরপতন হয় ৩০ পয়সা। ব্যাংক খাতে লেনদেন হয় ৯ শতাংশ। এ খাতে আট ব্যাংকের দর বেড়েছে। ব্র্যাক ব্যাংকের পাঁচ কোটি ৭৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৩০ পয়সা। তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের এডিএন টেলিকমের ১০ কোটি ১৩ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে দুই টাকা ২০ পয়সা। এছাড়া খাদ্য খাতে পাঁচ কোম্পানির দর বেড়েছে। তিন দশমিক ৬৯ শতাংশ বেড়ে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ দর বৃদ্ধিতে পঞ্চম অবস্থানে উঠে আসে।
আর্থিক খাতে চার কোম্পানির দর বেড়েছে এবং মিউচুয়াল ফান্ড খাত গতকাল দর বৃদ্ধিতে সবচেয়ে এগিয়ে ছিল। ১৪টি প্রতিষ্ঠানের ইউনিটের দর বেড়েছে। দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের ছয়টি ছিল মিউচুয়াল ফান্ড খাতের দখলে।
শেয়ারবার্তা/ সাইফুল