টানা পাঁচ কার্যদিবস পর পুঁজিবাজারে সামান্য ইতিবাচক গতি দেখা গেছে। প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৫০ শতাংশ কোম্পানির দরবৃদ্ধিতে ডিএসইএক্স সূচক বেড়েছে ১৫ পয়েন্ট। এদিন শুরু থেকেই শেয়ার কেনার চাপ থাকলেও লেনদেন হয়েছে মাত্র ২৬১ কোটি টাকার। অধিকাংশ খাতে কেনার প্রবণতা ছিল। তবে বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে ছিল জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, বিমা, সিমেন্ট এবং টেলিযোগাযোগ খাত। এছাড়া তথ্য ও প্রযুক্তি, বিবিধ ও খাদ্য খাতও ইতিবাচক অবস্থানে ছিল। তবে লেনদেনের শীর্ষে ছিল প্রকৌশল খাত। যদিও এ খাতে শেয়ার কেনার পাশাপাশি বিক্রির চাপও ছিল। এছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক খাতে বিক্রির চাপ বেশি ছিল।
মোট লেনদেনের ১৫ শতাংশ বা ৩৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়ে শীর্ষে উঠে আসে প্রকৌশল খাত। এ খাতে ৬৪ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। কমেছে ৩০ শতাংশের দর। ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের আট কোটি ৬২ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৫০ পয়সা। কোম্পানিটি দরবৃদ্ধিতে পঞ্চম অবস্থানে উঠে আসে। সাড়ে ছয় শতাংশ বেড়ে বিবিএস দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে আসে।
জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে লেনদেন হয় ১১ শতাংশ। এ খাতে ৭৪ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। এ খাতের খুলনা পাওয়ারের ১৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা লেনদেন হলেও দরপতন হয় এক টাকা ৭০ পয়সা। ইউনাইটেড পাওয়ারের তিন কোটি ৭৪ লাখ টাকা লেনদেনের পাশাপাশি দর বেড়েছে চার টাকা ৪০ পয়সা। এছাড়া চার দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়ে পদ্মা অয়েল দরবৃদ্ধিতে ষষ্ঠ অবস্থানে উঠে আসে।
বিমা খাতে ৬৬ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। সাড়ে ছয় শতাংশ বেড়ে প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স ও সোয়া পাঁচ শতাংশ বেড়ে সন্ধানী ইন্স্যুরেন্স দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশের মধ্যে উঠে আসে। এছাড়া পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের চার কোটি ৯০ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৮০ পয়সা। স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের চার কোটি টাকা লেনদেনের পাশাপাশি দর বেড়েছে এক টাকা ৩০ পয়সা।
সিমেন্ট খাতে লেনদেন হয় ১০ শতাংশ। এ খাতে কোনো কোম্পানি দরপতনে ছিল না। দুটির দর অপরিবর্তিত ছিল। ২৪ কোটি ৭১ লাখ টাকা লেনদেন হয়ে শীর্ষে উঠে আসে লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ। দর বেড়েছে এক টাকা ২০ পয়সা। টেলিযোগাযোগ খাত শতভাগ ইতিবাচক ছিল। এছাড়া আর কোনো খাতে উল্লেখযোগ্য লেনদেন হয়নি।
তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে ৬০ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। সোয়া চার শতাংশ করে বেড়ে ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স ও আমরা টেকনোলজিস দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশের মধ্যে অবস্থান করে। ওষুধ খাতে ৫৬ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। সোয়া আট শতাংশ বেড়ে সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে।
বিবিধ খাতে ৬১ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। ন্যাশনাল ফিড মিলের চার কোটি ৬৩ লাখ টাকা লেনদেনের পাশাপাশি দর বেড়েছে ৪০ পয়সা। খাদ্য খাতে ৬৫ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। সাড়ে চার শতাংশ দর বেড়ে ফাইন ফুডস দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশের মধ্যে অবস্থান করে। এছাড়া ব্যাংক খাতে ৫০ শতাংশ ও আর্থিক খাতে ৬৩ শতাংশ কোম্পানি দর হারিয়েছে।
শেয়ারবার্তা / আনিস