বিদায়ী সপ্তাহে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড দর বৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১০.৩৫ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন ১৮ কোটি ১৯ লাখ চার হাজার ৬০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৯০ কোটি ৯৫ লাখ ২৩ হাজার টাকার শেয়ার।
সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের শেয়ারদর ৫.৪৪ শতাংশ বা দুই টাকা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৪০ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৪০ টাকা ৫০ পয়সা। দিনজুড়ে ৪৮ লাখ ৪০ হাজার ৩৮৪টি শেয়ার মোট তিন হাজার ৩১১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৯ কোটি ৩১ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৩৮ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৪০ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৩০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৪৮ টাকা ৮০ পয়সায় ওঠানামা করে।
২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৬ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৪১ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা তার আগের বছরের সমান। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটি ইপিএস করেছে ৬৯ পয়সা ও এনএভি ১৩ টাকা ১৫ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৯২ পয়সা ও ১৩ টাকা ২৪ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ৮০ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ২২২ কোটি ৬৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
২০০৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ১৬১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৩৯৬ কোটি ৪৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ১১৬ কোটি ১৩ লাখ ৭৩ হাজার ৫০০টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৬৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ১৬ দশমিক ২৪ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী শূন্য দশমিক ৯৭ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ১৮ দশমিক ১১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
শেয়ারবার্তা / মিলন