বিদায়ী সপ্তাহে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিবিধ খাতের কোম্পানি ন্যাশনাল ফিড মিল লিমিটেড দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১০.৪২ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে এক কোটি ৮৫ লাখ ৪৮ হাজার ৬০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ ৯ কোটি ২৭ লাখ ৪৩ হাজার টাকা।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানির শেয়ারদর ৩. ৯৬ শতাংশ বা ৪০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১০ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১০ টাকা ৬০ পয়সা। ওইদিন কোম্পানিটির ২৭ লাখ ৪৮ হাজার ৩৮৫টি শেয়ার মোট ৯১০ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর দুই কোটি ৮৮ লাখ ১৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। ওইদিন শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১০ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১০ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ছয় টাকা থেকে ১৩ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এক শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১৫ পয়সা, আর ২০১৯ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৭১ পয়সা। ওই সময় শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৪ পয়সা।
এদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১৩ পয়সা, আগের বছর একই সময় ছিল তিন পয়সা। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৮৪ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ১২ টাকা ৭১ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে পাঁচ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল ছয় পয়সা।
এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পাঁচ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে ন্যাশনাল ফিড মিল লিমিটেড। ওই সময় কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় করে ৫৬ পয়সা এবং ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়ায় ১৩ টাকা ১৯ পয়সা। কোম্পানিটি ২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ২০০ কোটি অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৪ কোটি ৭৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট আট কোটি ৪৭ লাখ ৪২ হাজার ৩৫০টি শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ৪০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২২ দশমিক ৪৪ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৭ দশমিক ১৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
শেয়ারবার্তা / মিলন