1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
বহুজাতিক ও বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর সরাসরি তালিকাভুক্তির সুপারিশ
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২২ পিএম

বহুজাতিক ও বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর সরাসরি তালিকাভুক্তির সুপারিশ

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫

বর্তমান আইন অনুযায়ি, শেয়ারবাজারে সরাসরি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে শুধুমাত্র সরকারি কোম্পানিগুলি সরাসরি তালিকাভুক্ত হতে পারে। শেয়ারবাজার সংস্কার সংক্রান্ত টাস্কফোর্স ভারতে সরকারি কোম্পানির পাশাপাশি বহুজাতিক ও বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও সরাসরি তালিকাভুক্তির সুযোগ রাখার সুপারিশ করেছে।

সম্প্রতি এই টাস্কফোর্সের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে জমা দেওয়া প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) সংক্রান্ত খসড়া সুপারিশমালায় বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।

টাস্কফোর্সের প্রস্তাবে শেয়ারবাজারে ভালো শেয়ারের সরবরাহ বৃদ্ধি করতে কেস টু কেস ভিত্তিতে ১ হাজার কোটি টাকার বেশি আয়ে থাকা বহুজাতিক কোম্পানি এবং বড় কোম্পানিগুলোকে সরাসরি তালিকাভুক্তির সুপারিশ করা হয়েছে। এখানে ন্যূনতম শেয়ার ইস্যুর শর্ত ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া, ১ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ রয়েছে এমন কোম্পানির জন্য বাধ্যতামূলকভাবে তালিকাভুক্তির বিধান রাখা হয়েছে। ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতির ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৩০ কোটি এবং বুক বিল্ডিং পদ্ধতির জন্য ন্যূনতম ৫০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধনের বাধ্যবাধকতা আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।

দেশের বাইরে থেকে তহবিল উত্তোলনের জন্য আইনে ক্রস-বর্ডার আইপিওর বিধান যুক্ত করার সুপারিশও করা হয়েছে। বাজারভিত্তিক দর নির্ধারণের ক্ষেত্রে যৌক্তিক মূল্য নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে বেশ কিছু আইনি পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে টাস্কফোর্স। এর মধ্যে ডাচ অকশন পদ্ধতি পুনঃপ্রবর্তনের প্রস্তাব এবং বিডিং প্রক্রিয়ায় যোগ্য বিনিয়োগকারীদের (ইআই) অংশগ্রহণ বাড়ানোও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

টাস্কফোর্সের সুপারিশে আইপিও অনুমোদনের সময়সীমা কমিয়ে আনার বিষয়ে কথা বলা হয়েছে। ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতির আইপিওর জন্য সাড়ে পাঁচ মাস এবং বুক বিল্ডিং পদ্ধতির আইপিওর জন্য সাড়ে ছয় মাস সময় নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া, আইপিও আবেদন প্রক্রিয়া সহজতর করতে একটি অনলাইন ড্যাশবোর্ড চালুর সুপারিশ করা হয়েছে।

নতুন বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করতে, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তিদের জন্য কিছু অতিরিক্ত পরিবর্তনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ৫০ হাজার টাকার বিনিয়োগ পূর্বশর্ত বাতিল করার প্রস্তাব করা হয়েছে এবং সাধারণ বিনিয়োগকারী ও ইআইদের জন্য ৫০ শতাংশ আইপিও কোটার বরাদ্দের সুপারিশ করা হয়েছে।

এই সুপারিশগুলো একত্রে শেয়ারবাজারের সম্প্রসারণ এবং দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি কার্যকর ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ