1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
বিএসইসি কর্মকর্তাদের উপর লাঠিচার্জ, উত্তাল পরিস্থিতি
বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫, ০৫:১১ পিএম

বিএসইসি কর্মকর্তাদের উপর লাঠিচার্জ, উত্তাল পরিস্থিতি

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ, ২০২৫
BSEC

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ বুধবার (০৫ মার্চ) তাদের দাবী নিয়ে কমিশন ভবনে আন্দোলন করেছেন। দাবীর কোন সুরাহা না করে কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের যৌক্তিক আন্দোলনে পুলিশ ও সেনাবাহিনী লেলিয়ে দিয়ে লাঠিচার্জ ও হামলা চালিয়ে তাদের আহত করার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটানো হয়। এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ নিজ কর্মস্থলে লাঠিচার্জ ও হামলার শিকার হওয়া বিএসইসি তথা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়।

বিএসইসির অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লব ও গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর অন্য সবার মতো বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীগণও আশায় বুক বেঁধেছিল যে শেয়ারবাজার ও এর নিয়ন্ত্রক সংস্থায় সুদিন ফিরবে। কিন্তু তা হয়নি। এর আগের কমিশন যেভাবে আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে কর্মকর্তা কর্মচারীদের জোর করে আইন বহির্ভূত উপায়ে কাজ করতে বাধ্য করতো, এই কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনারগণও একইভাবে আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে আইন বহির্ভূত উপায়ে তাদের ব্যক্তিগত এজেন্ডা হাসিল করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে কাজ করতে বাধ্য করছে। তাদের মৌখিক নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ না করলে যেভাবে কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে গালিগালাজ, দুর্ব্যবহার ও শো-কজের মাধ্যমে প্রশাসনিকভাবে হয়রানি করা হয় তা অত্যন্ত দুঃখজনক। এভাবে চলতে থাকলে আগের বাংলাদেশের সাথে নতুন বাংলাদেশের পার্থক্য কি হবে।

সম্প্রতি কমিশনের একজন নির্বাহী পরিচালককে নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে যেভাবে বাধ্যতামূলকভাবে অবসরে পাঠানো হয়েছে, তা চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনারগণের স্বেচ্ছাচারী ও ব্যক্তিগত আক্রোশের স্পষ্ট উদাহরণ। কমিশনের যে কোন কর্মচারী-কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে সেটার তদন্ত হতে পারে, প্রমাণ সাপেক্ষে আইনানুযায়ী ও যথাযথ প্রক্রিয়ায় যে কোন ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু নিজেদের খেয়ালখুশি মতো স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত এক্সপেরিমেন্ট করার জায়গা শেয়ারবাজার না। কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের দাবী স্পষ্ট- আমরা কারো ক্রীড়নক না হয়ে, আইন কানুন মেনে দেশের মানুষের জন্য, বিনিয়োগকারীদের জন্য ও সর্বপরি শেয়ারবাজারের উন্নতির জন্য স্বাধীনভাবে কাজ করতে চাই।

কিন্তু অত্যন্ত বেদনাদায়ক হলেও সত্য যে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো একটি নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও, বাংলাদেশ ব্যাংক পেয়েছে দক্ষ ও অভিজ্ঞ নেতৃত্ব, আর শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি পেল একদল অনভিজ্ঞ অথর্ব। শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট সবাই ইতোমধ্যে জানেই যে বর্তমান কমিশনের চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদসহ অন্যান্য কমিশনারগণের শেয়ারবাজারে নিয়ে ভালো ধারণা নেই, অভিজ্ঞতা নেই, এমনকি শেয়ারবাজারের উন্নতি ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণের কোন সদিচ্ছা নেই। এভাবে কাজ করা যায় না। তাদের অদক্ষতায় একদিকে যেমন শেয়ারবাজারে দুর্দিন যাচ্ছে, অন্যদিকে তাদের সীমাহীন দুর্ব্যবহার, স্বেচ্ছাচারী, স্বৈরাচারী ও আইন বহির্ভূত মনোভাব ও কাজে কমিশনের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ হতাশ।

এমতাবস্থায় শেয়ারবাজারের উন্নতি ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণসহ কমিশনের কর্মকর্তা কর্মচারীগণের সুষ্ঠু ও স্বাধীনভাবে কাজ করার স্বার্থে ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের উপর হামলার প্রতিবাদে চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও অন্যান্য কমিশনারগণের পদত্যাগ দাবী করছে। অন্যথায় বৃহস্পতিবার থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ কর্মবিরতি পালন করবে।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ