শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের ৫০০ কোটি টাকার প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যু করার আবেদনের বিষয়ে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের মতামত চেয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
গত বছরের অক্টোবরে কোম্পানিটি তার বিদ্যমান ঋণ পুনঃঅর্থায়নের জন্য ৫০০ কোটি টাকা সংগ্রহের জন্য প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক এবং মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, কমিশন প্রাথমিক পাবলিক অফারিং (আইপিও) এর মতো প্রেফারেন্স শেয়ার এবং রাইটস শেয়ারের মতো বিষয়গুলিতে স্টক এক্সচেঞ্জগুলির সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কাজ করছে।
তিনি বলেন, এই ধরনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় নিয়ন্ত্রক স্টক এক্সচেঞ্জগুলির মতামত বিবেচনা করবে। যদিও এই প্রয়োজনীয়তাটি প্রাসঙ্গিক প্রবিধানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি, তবে কমিশন স্টক এক্সচেঞ্জগুলির মতামতকে মূল্য দেয়।
গত বছরের ডিসেম্বরে, কোম্পানিটি অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা করার সিদ্ধান্ত নেয়। কোম্পানির নতুন অনুমোদিত মূলধন ১৫০ কোটি সাধারণ শেয়ারে বিভক্ত করা হবে, যার প্রতিটির মূল্য ১০ টাকা। উপরন্তু, কোম্পানিটি এই পরিবর্তন প্রতিফলিত করার জন্য স্মারকলিপি এবং সংস্থার ধারাগুলির প্রয়োজনীয় ধারাগুলি সংশোধন করার পরিকল্পনা করে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে জিপিএইচ ইস্পাত শুধুমাত্র সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য (স্পনসর এবং পরিচালকদের বাদে) ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড সুপারিশ করেছে। ২০২৩ সালে ৫ শতাংশ ক্যাশ এবং ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৪ পয়সা। যা আগের বছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৩৪ পয়সা।
কোম্পানিটি জানিয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন থেকে বিনিময় ক্ষতি আগের বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ৮২.৫৭ শতাংশ কমেছে। এই হ্রাস শেয়ার প্রতি আয়ের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।