1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
গুজবের কারণে বাজার ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে নিয়ন্ত্রকদের কাজ কী?
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৫ পিএম

গুজবের কারণে বাজার ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে নিয়ন্ত্রকদের কাজ কী?

  • আপডেট সময় : সোমবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২০

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় চলছে লেনদেন। এদিন লেনদেনের শুরুতে উত্থান থাকলেও কিছুক্ষণ পর সৃষ্ট বিক্রয় চাপে টানা নামতে থাকে সূচক। সোমবার লেনদেন শুরুর প্রথম দেড় ঘন্টায় সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। তবে টাকার অংকে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। আলোচিত সময়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে প্রায় ১৪৫ কোটি টাকা।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী ও পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্টদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়। অর্থের সরবরাহ বৃদ্ধিসহ পুঁজিবাজার উন্নয়নে ১১টি বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর সুদৃষ্টি, পরামর্শ এবং সহযোগিতা চেয়েছে তারা। এছাড়া সেখানে বাজার-সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে তিনি সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন। আবার তিনি বলেছেন, গুজবের কারণে বাজার ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। যারা গুজব ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, যদি গুজবের কারণে বাজার ঘুরে দাঁড়াতে না পারে, এতদিন বিএসইসি, ডিএসই এবং সিএসই কী করেছে। তাহলে নিয়ন্ত্রকদের কাজ কী? এতে বোঝা যাচ্ছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ে যারা দায়িত্বে রয়েছে, সত্যিকার অর্থে, তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে না। আগে এদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। এরপর যারা বাজারে কারসাজি বা গুজব ছড়াচ্ছে তাদের শাস্তি দেওয়া হোক। আগে মূল জায়গায় শাস্তি দিতে হবে। তারপর না অন্য জায়গায়। তাহলেই বাজার ভালো হতে বাধ্য বলেও মনে করছেন তারা।

এদিকে, আজকের দুপুরের বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দুপুর ১২টায় ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪৩৮৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ০.৮৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৯৯৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৪৭৩ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন হওয়া ৩৩৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১২টির, দর কমেছে ১৫২টির এবং দর পরিবর্তীত রয়েছে ৭০টির। এ সময় টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১৪৩ কোটি ৬৯ লাখ ৪৯ হাজার টাকা।

এর আগের কার্যদিবস একই সময় ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ৩৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৪৪২৪ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১০০১ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৪৯০ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ১০৭ কোটি টাকা।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ১৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৯০ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন হওয়া ১৩৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৪৯টির, দর কমেছে ৬২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির। আলোচিত সময়ে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ২ লাখ ২১ হাজার টাকা।

শেয়ারবার্তা/ সাইফুল

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ