বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতে নতুন সম্ভাবনার পথ তৈরি করছে ওয়ালটন বলে মন্তব্য করেছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা বশিরউদ্দিন।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে ওয়ালটন আয়োজিত ‘অ্যাডভান্সড টেকনোলজি সল্যুশন (এটিএস) এক্সপো-২০২৪’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাফল্য কোনো স্থির গন্তব্য নয়। এটি একটি চলমান যাত্রা। আমি যখন ওয়ালটন ঘুরে দেখছিলাম, তখন উপলব্ধি করেছি যে তারা সাফল্যের যে যাত্রা শুরু করেছে, তা থেমে নেই। এই যাত্রা চলমান। ভবিষ্যতে আরও বহুদূর যাবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে ব্যবসার অন্যতম মূলনীতি হলো মানুষের সমস্যার সমাধান করা। ওয়ালটন এই নীতির অনুসরণে মানুষের সমস্যাগুলোকে উপলব্ধি করে ও প্রযুক্তির উৎকর্ষতার মাধ্যমে সেগুলোর সমাধান করছে।
ওয়ালটনের প্রযুক্তি ও কর্মপদ্ধতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওয়ালটনের কাজ আমাকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। তারা একটি সমন্বিত পদ্ধতিতে কাজ করছে। যা একেবারে কাঁচামাল থেকে সফটওয়্যার পর্যন্ত পুরো উৎপাদন প্রক্রিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করে।
তিনি আরও বলেন, ওয়ালটনের পণ্য বৈচিত্র্য এবং উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা আমাদের জাতি হিসেবে গর্ব করার সুযোগ করে দিয়েছে। তাদের প্রযুক্তিগত সমাধান শুধু মানুষের জীবন সহজতর করছে না। এটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্বের ১৪৫টি দেশে ওয়ালটনের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। এই সাফল্য বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতকে বৈশ্বিক মঞ্চে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে। ওয়ালটন আমাদের দেশের একটি গর্বিত প্রতিষ্ঠান। যারা আন্তর্জাতিক বাজারে নিজেদের সাফল্য ছড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ওয়ালটন সরকারি সহায়তাকে যথাযথভাবে ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান এ ধরনের সহায়তাকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারে না। কিন্তু ওয়ালটন প্রমাণ করেছে যে সঠিক দিকনির্দেশনা ও পরিকল্পনা থাকলে তা কেমন ফলপ্রসূ হতে পারে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশ বহির্বিশ্বে বিভিন্ন কারণে পরিচিত। যেমন আমাদের শ্রমিকদের দক্ষতা, কৃষিপণ্য বা প্রযুক্তিপণ্য। কিন্তু ওয়ালটন আমাদের একটি নতুন পরিচয় দিয়েছে—একটি প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত জাতি হিসেবে।
তিনি উল্লেখ করেন, ওয়ালটনের মতো প্রতিষ্ঠান আমাদের আন্তর্জাতিক পরিচিতি বাড়াতে সাহায্য করছে। তারা শুধু পণ্য রপ্তানি করছে না। বরং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছে।
তিনি আরো বলেন, ওয়ালটনের মতো প্রতিষ্ঠান আমাদের দেশীয় পণ্য ব্যবহারে উৎসাহিত করে। যদি আমরা দেশীয় পণ্য ব্যবহারে অগ্রাধিকার দিই এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনকে সমর্থন করি, তবে আমাদের দেশ আরও এগিয়ে যাবে।
ওয়ালটনের সাফল্য শুধু তাদের প্রতিষ্ঠান নয়। পুরো জাতির জন্য একটি বড় অর্জন। তাদের উদ্ভাবন এবং পণ্য উৎপাদনের ধারাবাহিকতা দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ওয়ালটনের এই চলমান যাত্রা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।