পুঁজিবাজার পরিস্থিতি এবং এর টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
আজ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় আগারগাঁওয়ের এনইসি ভবনে এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা অংশ নেন।
পুঁজিবাজার সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরে ডিএসই। প্রস্তাবনাগুলো হলো, পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের ব্যবস্থা, বাজারে অর্থের সরবরাহ বৃদ্ধি, রাষ্ট্রয়াত্ত্ব কোম্পানির শেয়ার পুঁজিবাজারে আনয়ন, টি-বন্ডের লেনদেন যথাশীঘ্র চালুকরণ, বহুজাতিক কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে উদ্বুদ্ধ করা, গ্রামীণফোন এবং টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার দ্বন্দ্বের দ্রুত নিষ্পত্তি, ডিএসই এবং পুঁজিবাজারের লেনদেনের উপর কর হ্রাস, অডিট রিপোর্টের স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ, পুঁজিবাজার উন্নয়নে আইসিবি ও অন্যান্য সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ ও উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সমন্বয় কমিটি গঠন করা।
এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর ডিএসইর ৯৪১তম পর্ষদ সভায় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে অর্থমন্ত্রী ও গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়ে আবেদন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ ডিসেম্বর বৈঠকের সময় চেয়ে চিঠি দেয় ডিএসই।
বর্তমানে দেশের পুঁজিবাজার খারাপ সময় পার করছে। মাত্র ১০ বছর আগে যে বাজারে দৈনিক লেনদেন হয়েছে ৮শ কোটি টাকার বেশি, সেই বাজারে লেনদেন নেমে এসেছে ২শ কোটি টাকার ঘরে। আর এমন পতনমুখী বাজারে স্টেকহোল্ডারা নানা তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। তারা নানা উদ্যোগ নিলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
সর্বশেষ শীর্ষ ব্রোকাররা বাজারে বিনিয়োগের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার ফান্ড দাবি করে অর্থমন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায়।
শেয়ারবার্তা/ সাইফুল