বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সদস্য নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বেসরকারি জীবন বিমা কোম্পানি সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স থেকে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই বিমা কোম্পানিটির টাকায় তিনি সপরিবারে বিদেশ ভ্রমণও করেছেন। সোনালী লাইফের ১৮৭ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া ও সাসপেন্ড পরিচালনা পর্ষদের হাতে বোর্ডের দায়িত্ব ফিরিয়ে দিতে কোম্পানিটির সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসকে সব ধরনের সহযোগিতা করছেন বলেও অভিযোগ।
জানা যায়, ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে সপরিবারে ভ্রমণ করেন বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থার এ সদস্য। গ্যালাক্সি ট্রাভেল ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি প্রতিষ্ঠান এই ভ্রমণের সব আয়োজন করে। এতে ভিসা, প্লেন ভাড়া, হোটেলে থাকা এবং যাতায়াত বাবদ ব্যয় হয় ১৯ লাখ টাকা। এই হিসাব কেনাকাটা বা অন্য বিলাসী খরচ বাদ দিয়ে।
২০২৩ সালে গ্যালাক্সি ট্রাভেল ইন্টারন্যাশনালকে সোনালী লাইফ পরিশোধ করে ৬ কোটি ৭০ লাখ ১৩ হাজার ১৭৯ টাকা। এর মধ্যে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই অর্থাৎ নজরুল ইসলাম সপরিবারে ভ্রমণের পরের মাসেই পরিশোধ করা হয় ৩৯ লাখ ১৫ হাজার ২১০ টাকা। এই টাকার পুরোটাই আইডিআরএর এ সদস্যের সপরিবারে বিদেশ ভ্রমণ বাবদ পরিশোধ করা হয় বলে অভিযোগ।
এরই প্রতিদান দিতে সোনালী লাইফের ১৮৭ কোটি টাকা আত্মসাতের বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে এই অর্থ আত্মসাতে অভিযুক্ত সাসপেন্ড পরিচালনা পর্ষদের হাতেই কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ফিরিয়ে দিতে উদ্যোগ নিয়েছেন আইডিআরএর সদস্য নজরুল ইসলাম। তিনি আইডিআরএর বাকি তিন সদস্যকেও পর্ষদ ফিরিয়ে দেওয়ার পক্ষে ম্যানেজ করেন।
আমি নজরুল এমন একজন ব্যক্তি কেউ আমাকে ১০ টাকা দিয়ে কেনার ক্ষমতা নেই। আমি নজরুলকে বাংলাদেশের কোনো ব্যক্তির কোনো বিনিময়ে কেনার সক্ষমতা নেই।-আইডিআরএ সদস্য নজরুল ইসলাম
একই সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. নাহিদ হোসেন ও একজন যুগ্মসচিবকে ‘ম্যানেজ করে’ আইডিআরএ সদস্য নজরুল ইসলাম সোনালী লাইফের কর্তৃত্ব মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস নেতৃত্বাধীন পরিচালনা পর্ষদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরই অংশ হিসেবে অর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে প্রশাসক প্রত্যাহারের বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টার কাছে সুপারিশও করা হয়েছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন আর্থিকপ্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. নাহিদ হোসেন ও আইডিআরএ সদস্য নজরুল ইসলাম। আইডিআরএ সদস্য দাবি করেছেন তিনি কোনো জায়গা থেকে কোনো ধরনের অনৈতিক সুবিধা নেননি। আর ড. নাহিদ হোসেন বলেন, তিনি এখন বিমার বিষয়টি দেখছেন না। অবশ্য সোনালী লাইফের প্রশাসক নিয়ে আইডিআরএ চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
সোনালী লাইফের ১৮৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে চলতি বছরের ২১ এপ্রিল প্রশাসক নিয়োগ করে আইডিআরএ। পরে এ অভিযোগে ২৫ জুলাই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অপরদিকে জুলাই মাসেই সোনালী লাইফের ১০ বছরের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের দুর্নীতি ও অনিয়ম খতিয়ে দেখতে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান হুদাভাসিকে নিয়োগ করে আইডিআরএ। এছাড়া বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) সোনালী লাইফের অনিয়ম-দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করে।
সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লাইসেন্স পায় ২০১৩ সালে। ওই বছরই তারা ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড শুরু করে। ২০২৩ সালে সোনালী লাইফের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস। পরে ১৮৭ কোটি টাকা আত্মাসাতের বিষয়টি সামনে আসে।
অবৈধভাবে সোনালী লাইফের তহবিল থেকে বের করে নেওয়া অর্থের পরিমাণ মোট ১৮৭ কোটি ৮৪ লাখ ১৫ হাজার ৯৬৬ টাকা। এর মধ্যে পরিচালকদের নামে শেয়ার কিনতে তহবিল থেকে নেওয়া হয়েছে ৯ কোটি ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। জমি/ভবন কিনতে অগ্রিম দেখিয়ে অবৈধভাবে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে সোনালী লাইফের তহবিল থেকে দেওয়া হয়েছে ১৪১ কোটি ৫৬ লাখ ৯০ হাজার ৫০০ টাকা। সোয়েটার কেনা, আপ্যায়ন, ইআরপি মেইনটেন্যান্স বাবদ মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে ৭ কোটি ৮৫ লাখ ৬৮ হাজার ৮১৭ টাকা।
নিজ পরিবারের সদস্য পরিচালকদের মাসিক বেতন বাবদ নেওয়া হয়েছে ২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। অবৈধভাবে বিলাসবহুল অডি কার কেনায় খরচ করা হয়েছে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। নিজ পরিবারের সদস্য পরিচালকদের অতিরিক্ত ডিভিডেন্ড দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৬০ লাখ ১০ হাজার ৭৫০ টাকা। বিদেশে চিকিৎসা, শিক্ষা, ভ্রমণ ব্যয় ১ কোটি ৫৪ লাখ ৯০ হাজার ৮০০ টাকা। গ্রুপ বিমা পলিসি থেকে ড্যানিয়েলকে অবৈধ কমিশন দেওয়া হয়েছে ৯ লাখ টাকা।
ঋণ সমন্বয়, অনুদান, এসি কেনা, কোরবানির গরু কেনা, বিদেশ ভ্রমণ, পলিসি নবায়ন উপহার, আইপিও খরচের নামে নেওয়া হয়েছে ৮ কোটি ২৬ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫৯ টাকা। অফিস ভাড়ার নামে ড্রাগন আইটিকে দেওয়া হয়েছে ১১ কোটি ৯৪ লাখ ২০ হাজার ১৭ টাকা। সম্পূর্ণ ইম্পেরিয়েল ভবনের ইউটিলিটি বিল পরিশোধ ১ কোটি ৭২ লাখ ৪২ হাজার ২২৩ টাকা। ড্রাগন সোয়েটার ও স্পিনিং লিমিটেডের ট্যাক্স পরিশোধ ১৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
এখনো সবকিছু পাইপলাইনে। এখনো কোনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি। এটা এখনো আমাদের নিজস্ব আলাপ-আলোচনার মধ্যে রয়েছে। যাই করা হোক অর্থ উপদেষ্টার অনুমোদন নিয়েই করা হবে।- অতিরিক্ত সচিব অমল কৃষ্ণ মণ্ডল
এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সোনালী লাইফের পর্ষদ সাসপেন্ড করে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে আইডিআরএ। প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার পর গত ১১ আগস্ট সোনালী লাইফের একদল কর্মী আইডিআরএ কার্যালয়ে গিয়ে চেয়ারম্যান জয়নুল বারীর পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভ করেন। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।
এরপর আইডিআরএ সদস্য নজরুল ইসলামের ভূমিকায় গত ১৯ আগস্ট মন্ত্রণালয়ে একটি ত্রিপক্ষীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সোনালী লাইফের সাবেক দুই চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস ও কাজী মনিরুজ্জামান, আইডিআরএ সদস্য বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, দলিল উদ্দিন, কামরুল হাসান ও মো. নজরুল ইসলাম উপস্থিতি ছিলেন। এছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল রহমান খান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সভায় বিষয়টি বিচারাধীন বলে পর্ষদ পুনর্গঠন ও প্রশাসক প্রত্যাহারের ব্যাপারে আদালত সিদ্ধান্ত নেবে বলে সাসপেন্ড পরিচালনা পর্ষদকে জানিয়ে দেওয়া হয়।
১৯ আগস্টের ওই বৈঠকে সফল না হওয়ায় এর পরের দিন সোনালী লাইফের কর্মকর্তারা আইডিআরএ কার্যালয় অবরুদ্ধ করেন। পরবর্তীসময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে রাত ১টায় সমঝোতা হয়। দুই শর্তের ওই সমঝোতার পরই আইডিআরএ কার্যালয় ছাড়েন সোনালী লাইফের কর্মকর্তারা।
দুই শর্তের মধ্যে একটি ছিল সোনালী লাইফের প্রশাসক প্রত্যাহার ও পরিচালনা পর্ষদ পুনর্বহালের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে একটি সভা করার জন্য ২১ আগস্ট অনুরোধ করে কর্তৃপক্ষ থেকে পত্র দেওয়া।
শর্ত অনুযায়ী আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে পাঠানো আইডিআরএর চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আবারও ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের আয়োজন করে অর্থ মন্ত্রণালয়। আর্থিকপ্রতিষ্ঠান বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব অমর কৃষ্ণ মণ্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়- সোনালী লাইফের প্রশাসক প্রত্যাহার এবং পরিচালনা পর্ষদ গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন অর্থ উপদেষ্টা।
বৈঠক আয়োজনের নেপথ্যেও ছিলেন আইডিআরএ সদস্য নজরুল ইসলাম। তিনি তদবির করে সোনালী লাইফের অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে জড়িতদের হাতে কোম্পানি পরিচালনার দায়িত্ব ফিরিয়ে দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিকপ্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. নাহিদ হোসেন ও একজন যুগ্মসচিবকেও ম্যানেজ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সোনালী লাইফ থেকে অনৈতিক সুবিধা নেওয়া সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আইডিআরএ সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি নজরুল এমন একজন ব্যক্তি কেউ আমাকে ১০ টাকা দিয়ে কেনার ক্ষমতা নেই। আমি নজরুলকে বাংলাদেশের কোনো ব্যক্তির কোনো কিছুর বিনিময়ে কেনার সক্ষমতা নেই।’
আমাদের কাছে তথ্য আছে আপনি ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরে সপরিবারে যে ভ্রমণ করেছেন তার খরচ সোনালী লাইফ থেকে দেওয়া হয়েছে। এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘কেউ যদি কোনো কিছু কারও নামে করে এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। আমি আমার ব্যক্তিগত সততা নিয়ে চিন্তা করি। আমি নিজস্ব টাকায় ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে সপরিবারে ভ্রমণ করেছি।’
সোনালী লাইফের প্রশাসক প্রত্যাহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. নাহিদ হোসেন বলেন, ‘এ ধরনের সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। এটা আপনি কোথা থেকে শুনলেন?’
এরপর তাকে বলা হয়, শোনা যাচ্ছে আপনারা প্রশাসক প্রত্যাহারের বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টার কাছে সুপারিশ করেছেন। এর উত্তরে এই অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘সুপারিশ করা মানেই তো সিদ্ধান্ত নেওয়া নয়। আমি এই মুহূর্তে বিমা দেখছি না।’
এসময় তাকে প্রশ্ন করা হয় অভিযোগ উঠেছে আইডিআরএ সদস্য নজরুল ইসলাম সোনালী লাইফ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে প্রশাসক প্রত্যাহার করার উদ্যোগ নিয়েছেন এবং তিনি আপনাকে ম্যানেজ করেছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই অর্থ উপদেষ্টার কাছে প্রশাসক প্রত্যাহারের সুপরিশ করা হয়েছে। এর উত্তরে নাহিদ হোসেন বলেন, ‘প্রথমত আমি বিমা দেখি না। দ্বিতীয়ত আমরা কথা বললে চেয়াম্যানের সঙ্গে কথা বলছি। উনি (নজরুল ইসলাম) কোথা থেকে এলেন সেটাও জানি না, আমি যতটুকু জানি উনি নন-লাইফ দেখেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চেয়ারম্যান সাহেবের সঙ্গে কথা বলছি। আজ (২৯ আগস্ট) সকালেও বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি। আর আপনি বলছেন আরেকজনের কথা। এর সঙ্গে আবার আমাকে জড়াচ্ছেন।’
আর্থিকপ্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের রুটিন দায়িত্ব পালন করা অতিরিক্ত সচিব অমল কৃষ্ণ মণ্ডলের কাছে সোনালী লাইফের প্রশাসক প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাওয়া হয়। উত্তরে তিনি বলেন, ‘এখনো সবকিছু পাইপলাইনে। এখনো কোনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি। এটা এখনো আমাদের নিজস্ব আলাপ-আলোচনার মধ্যে রয়েছে। যাই করা হোক অর্থ উপদেষ্টার অনুমোদন নিয়েই করা হবে।’
নজরুল ইসলাম অনৈতিক সুবিধা নিয়ে সোনালী লাইফের প্রশাসক প্রত্যাহার, কোম্পানিটিতে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস ও কাজী মনিরুজ্জামানের কর্তৃত্ব ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। একই সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের দুজন কর্মকর্তাকে নজরুল ইসলাম ম্যানেজ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন প্রশ্ন করলে অমল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ‘ইস্যুটা (সোনালী লাইফের প্রশাসক) আইডিআরএ আমাদের অনুরোধ করেছে। এজন্য আমরা আমাদের মতো একটা ড্রাফট তৈরি করেছি। এটা আমরা উপদেষ্টা মহাদয়ের কাছে দেবো। উনি যদি অ্যাগ্রি করেন, তাহলে আমরা দুই পক্ষকে সেই মোতাবেক এগোতে বলবো।’
তিনি বলেন, ‘কে টাকা নিলো, কে কাকে প্রভাবিত করলো তা আমি জানি না। এখন একজন একজনকে প্রভাবিত করলে কাজ থেমে যাবে এমনটা নয়। যদি প্রকৃত ডকুমেন্ট থাকে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে বলতে হবে, সে টাকা নিয়েছে।’
সোনালী লাইফের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের কাছে প্রশ্ন করা হয় নজরুল ইসলামের সপরিবারে বিদেশ ভ্রমণের বিল সোনালী লাইফ থেকে গ্যালাক্সি ট্রাভেল ইন্টারন্যাশনালকে কেন দেওয়া হয়েছিল? এর উত্তরে তিনি বলেন, ‘আইডিআরএ তদন্ত করছে, আপনারা আইডিআরএকে প্রশ্ন করেন।’ এটা বলেই তিনি মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।