অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘আমাদের অর্থনীতি শক্তিশালী হলে এর প্রতিফলন পুঁজিবাজারে আসতে বাধ্য। আজ না হলে আগামীকাল আসতে হবেই।’
তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি যত শক্তিশালী হবে পুঁজিবাজার তত শক্তিশালী হতে বাধ্য। কিন্তু আমাদের এখানে সেটা ঘটে না। আমি জানি না কেন? সব দিকেই ভালো, শুধু এক জায়গায় বহির্বিশ্বের সঙ্গে মিল নেই।’
বুধবার (১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘শেয়ার বাজারে প্রথম ঘণ্টায় দাম বাড়ে, তখন যারা ইনভেস্ট করে তারা পায়। দ্বিতীয় ঘণ্টায় আবার দাম কমে যায়। দ্বিতীয় ঘণ্টায় দাম কমার পর এটাকে বলা হয় সেই দিনের স্থিতি। কে জিতলো আর কে হারলো নিজের মনকে প্রশ্ন কর।’
সূচকের পতন অব্যাহত থাকলে সমস্যা বাড়বে কি না-জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখানে এ ধরনের কোনো ব্যবস্থা নেই। কেউ আয় করবে কেউ লস করবে, দুইটা এক সঙ্গে হয়তো হবে না। সরকারের যে দায়িত্ব সেখানে গুড গভর্নেন্স থাকতে হবে। যারা অপরাধ করবে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এজন্য রেগুলেটর আছে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশে এক হাজার ইনডেস্ক থেকে শূন্যতে আসলে এসইসি চেয়ারম্যানকে গালিও দেবে না মারতেও যাবে না রাস্তায় গাড়িও ভাঙবে না। আমি জানি না কেন সবদিকেই ভাল শুধু এক জায়গায় বহির্বিশ্বের সঙ্গে মিল নাই।’
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমাকে দেখতে হবে, ব্যাংকগুলো ম্যানুপুলেট করে কিনা। যে শেয়ারগুলো বাজারে আসে সেগুলো ম্যানুপুলেট করে কি না। প্রফিট হওয়ার পরও প্রফিট ঘোষণা না দিয়ে ডেভিডেন্ট পকেটে নেয় কি না।
তিনি বলেন, ‘আগে যেভাবে শেয়ারকে প্রাইসিং করা হত, সেভাবে এখন হয় না। এখন রেগুলেটর ও অপারেটররা সব সময় আলাপ-আলোচনা করে। যেখানে নীতি নির্দেশনার অভাব থাকে বা নির্দেশনা আরও শক্তিশালী করা দরকার। টেক কেয়ার থাকলে মনে হয় ভাল থাকবে।’
শেয়ারবার্তা / আনিস