চলমান বন্যা ও ছাত্র আন্দোলনের কারণে ১৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে উৎপাদন ব্যাহত ও পণ্যের শিপমেন্ট বাধাগ্রস্ত হয়। এতে অর্থ সংকটের কারণে অনেক মালিক বেতন দিতে পারবে না। এ সংকট উত্তরণে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ২ হাজার কোটি টাকা ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) বিজিএমই।
রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালাহউদ্দিন আহমেদের দপ্তরে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম এ দাবি জানান।
রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের কারখানায় ১৬/১৭ দিন উৎপাদন করা যায়নি। পরবর্তী মাসে আমাদের সংকট দেখা দিতে পারে। আমরা উপদেষ্টার কাছে সহজ ঋণের অনুরোধ করেছি। যেটা আমরা ১ বছরের মধ্যে ফিরিয়ে দেবো। তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন, আমরাও আশাবাদী এই সরকারের সঙ্গে কাজ করলে আমরা এগিয়ে যেতে পারবো।
তারা বলেছেন, আমরা আশ্বাস দিয়েছি, আমরা ঘুরে দাঁড়ালে দেশের এই ব্যবসা ঘুরে দাঁড়াবে। অনেক বেশি ব্যবসা বাংলাদেশে রান করবে।
কমিটির বিষয়ে তারা বলেন, এই কমিটি বহুদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে। সাবেকদের পরামর্শ ও সমর্থনে সবাই মিলে কাজ করে যাবো। এটা হল আমাদের লাইফলাইন। আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করবো। আমাদের মধ্যে ভিন্ন মত থাকতে পারে, কিন্ত ব্যাবসা নিয়ে নয়।
বায়ারদের আস্থা বাড়ানোর জন্য আমাদের বায়ার ফোরামের সঙ্গে মিটিং আছে। সেখানে আমরা সার্বিক বিষয় তুলে ধরবো। যাতে তাদের আস্থা বাড়ানো যায়।
তারা আরও বলেন, এখানে আমাদের শিল্পটা আগে। দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে হবে। এই সরকার যদি ব্যর্থ হয় তাহলে নির্বাচন ছাড়া ইমিডিয়েট সরকার পাবো না। তাই এই সরকার থাকা পর্যন্ত অর্থনীতি গতিশীল রাখতে যা করা দরকার আমরা তাই করবো।