1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
শেয়ার কারসাজির দায়ে সাত ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০২ এএম

শেয়ার কারসাজির দায়ে সাত ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

  • আপডেট সময় : রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৪

গত দুই মাসে শেয়ার দরে কারসাজির সংক্রান্ত দায়ে তিন ব্যক্তি ও চার প্রতিষ্ঠানকে ১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

জরিমানার অর্থ পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে জমা না দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জরিমানার আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে গত জুলাইয়ে স্নিগ্ধা ইকুইটিস লিমিটেডকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই সংক্রান্ত বিষয়ে গত বছরের ২৩ অক্টোবর পরিদর্শন কমিটি গঠন করে সংস্থাটি। আর জুনে জরিমানা করা হয় বাকি তিন ব্যক্তি ও তিন প্রতিষ্ঠানকে।

জানা গেছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ২০২০ সালের ২৭ জুলাই থেকে ওই বছরের ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারসংক্রান্ত অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করে। এতে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালক নুজহাত নাহার তৃষার বিরুদ্ধে শেয়ার লেনদেনসংক্রান্ত অনিয়ম পাওয়া যায়। এই পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।

এর আগে ২০১৭ সালের ২ এপ্রিল থেকে ওই বছরের ১২ জুলাই রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের শেয়ার লেনদেনসংক্রান্ত অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করে বিএসইসি। এতে সিরিজ লেনদেনের মাধ্যমে কোম্পানিটির শেয়ারদর প্রভাবিত করার মতো অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে সাত বছর পর মো. আব্দুল কাদেরকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বিএসইসি।

এদিকে, হিমাদ্রি লিমিটেডের শেয়ারসংক্রান্ত তদন্ত কার্যক্রম গত বছরের ২৭ এপ্রিল থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত পরিচালনা করে ডিএসই। এই সংক্রান্তে দেখা যায়, মো. রফিকুল বারি, মেসার্স এ আর ট্রেডার্স, মেসার্স অভি ব্রিকস ও মুনির ট্রেডার্সের বিরুদ্ধে শেয়ারদর প্রভাবিত করার অনিয়ম পাওয়া গেছে। এর প্রেক্ষিতে বিএসইসি তাদের মোট ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে। এর মধ্যে মো. রফিকুল বারি ও মেসার্স এ আর ট্রেডার্সকে ১ কোটি টাকা এবং অভি ব্রিকসকে ৬০ লাখ ও মুনির ট্রেডার্সকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

অন্যদিকে, সিকিউরিটিজসংক্রান্ত আইন লঙ্ঘনের কারণে গত দুই মাসে ৩২ প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়েছে। এর মধ্যে গত জুলাইয়ে ডেল্টা ক্যাপিটাল, ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজ, রাজ্জাক সিকিউরিটিজ, রিমন ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, সমতা লেদার কমপ্লেক্স, ফু-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ, কনফিডেন্স সিমেন্ট, মেঘনা সিমেন্ট মিলস, জিএসপি ফাইন্যান্স কোম্পানি, আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ, হারুন সিকিউরিটিজ, ডেটন হোল্ডিংস, মোহাম্মদ তালহা অ্যান্ড কোং, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার, আরামিট সিমেন্ট, গ্লোব সিকিউরিটিজ, এমএএইচ সিকিউরিটিজ, আজম সিকিউরিটিজ, রয়্যাল ক্যাপিটাল, ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ, হেদায়েতুল্লাহ সিকিউরিটিজ, ইউনিক্যাপ সিকিউরিটিজ, মাস্ট কমিউনিকেশন ও এএনএফ ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিকে সতর্ক করেছে বিএসইসি।

এছাড়াও, গত জুনে বিডিভি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, আলহাজ জাহানারা সিকিউরিটিজ লিমিটেড, মিকা সিকিউরিটিজ, মশিউর সিকিউরিটিজ, ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজ, সিএমসিএল সিকিউরিটিজ, ইনভেস্টএশিয়া ক্যাপিটাল অ্যান্ড অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ও পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি সতর্ক করে বিএসইসি। ভবিষ্যতে এসব হাউজকে সিকিউরিটিজ আইন যথাযথভাবে মেনে চলার জন্য কঠোরভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ