২০১০ সালের ধসের পর শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা আরেকটি খারাপ বছর পার করলেন। ২০১৯ সালটি ছিল বিনিয়োগকারীদের জন্য হাহাকার ও নিঃস্ব হওয়ার বছর। এ বছরে বাজারে তালিকাভুক্ত অনেক শেয়ারের দাম গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। তাতে পুঁজি হারিয়ে বিনিয়োগকারীরা নিঃস্ব হয়েছেন। ২০১৯ সালটি ছিল বর্তমান সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের দায়িত্ব গ্রহণের বছর। বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আশা ছিল নতুন সরকারের প্রথম বছরটি ভালোই কাটবে তাঁদের। বছরের শুরুটা সেই আভাসই দিয়েছিল।
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের শুরুতে মাত্র ১৮ কার্যদিবসে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৬৪ পয়েন্ট বেড়েছিল। এরপর ২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় পতন, যা বছরজুড়ে অব্যাহত ছিল। তাতে ডিএসইএক্স সূচকটি এক বছরে ১ হাজার পয়েন্টের বেশি কমেছে। বছর শেষে দৈনিক লেনদেন ২০০ কোটি টাকা কমে নেমে এসেছে ৩১৯ কোটি টাকায়।
শেয়ারবাজারের এই পতন ঠেকাতে সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হলেও তার কোনো সুফলই বাজারে পড়েনি। নিয়ন্ত্রক সংস্থার ওপরই বিনিয়োগকারীদের চরম আস্থাহীনতা দেখা দেয়। এ কারণে গত বছর বাজারজুড়েই বিএসইসির চেয়ারম্যানসহ নিয়ন্ত্রক সংস্থার পুনর্গঠনের দাবি ছিল বেশ জোরালো। এই দাবিতে বিনিয়োগকারীরা নিয়মিত বিক্ষোভও করেছেন মতিঝিলে ডিএসই ভবনের সামনে। এই বিক্ষোভ থামাতে গত আগস্টে আন্দোলনরত বিনিয়োগকারীদের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি বা জিডি করে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।
শেয়ারবার্তা / আনিস