সরকারি চাকুরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হয় ৫ জুলাই। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরুর পর থেকেই এর ব্যাপকতা বাড়তে থাকে। পরিস্থিতি সহিংস হয়ে ওঠে ১৫ জুলাই। যার প্রভাব পড়ে দেশের শেয়ারবাজারেও।
আন্দোলন-সংগ্রামের পর গত মাসের তিন সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে ১০ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা। ডিএসইর তথ্য বিশ্লেষণে এই তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইর তথ্যমতে, গত ১১ জুলাই শেয়ারবাজারের মূলধন ছিল ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা। তিন সপ্তাহ পর গত বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫৩ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকায়।
শেয়ারবাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৩৪ পয়েন্টে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ৫ হাজার ৪১৪ পয়েন্ট, তার আগের সপ্তাহে ছিল ৫ হাজার ৪৪৭ পয়েন্ট।
ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএস-৩০ গত সপ্তাহে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯০১ পয়েন্টে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ১ হাজার ৯৩৩ পয়েন্ট, তার আগের সপ্তাহে যা ছিল ১ হাজার ৯৫৩ পয়েন্ট।
শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গত সপ্তাহে ১ হাজার ১৬৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ১ হাজার ১৮৩ পয়েন্ট, তার আগের সপ্তাহে যা ছিল ১ হাজার ১৯১ পয়েন্ট।
ডিএসইতে গত সপ্তাহে মোট ২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ২ হাজার ২২০ কোটি টাকা। তার আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল মোট ৪ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া মোট ৪১২টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৪৯টির, কমেছে ৩২৭টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২০টির দর। এছাড়া লেনদেন হয়নি ১৬টির।
খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৫.০৩ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১.০৯ শতাংশ দখলে নিয়েছে ব্যাংক খাত। ১০.০৮ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত। এছাড়া ৯.০৪ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল তথ্যপ্রযুক্তি খাত।
আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে টেলিকম বাদে সব খাতের শেয়ারেই নেতিবাচক রিটার্ন ছিল। টেলিকম খাতে ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে ০.০১ শতাংশ। আর নেতিবাচক রিটার্নে শীর্ষে ছিল সিরামিক, কাগজ ও সেবা খাত। খাত তিনটিতে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে যথাক্রমে ৫.০১, ৪.০৫ ও ৪.০৪ শতাংশ।