বিদেশে যাওয়া মানুষের সংখ্যা কমলেও প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স বাড়ছে। দুই শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ায় প্রবাসী আয়ে গতি থাকলেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ। জুলাই-নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসে পণ্য রপ্তানি কমেছে সাড়ে ৭ শতাংশের মতো। ফলে সামগ্রিকভাবে বৈদেশিক মুদ্রা আহরণে নতুন বছরটি চ্যালেঞ্জ দিয়ে শুরু হচ্ছে।
গত জুনে শেষ হওয়া ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪ হাজার ৫৩ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়। তখন প্রবৃদ্ধি ছিল সাড়ে ১০ শতাংশ। জুলাইয়ে নতুন অর্থবছর শুরু হয়। ওই মাসে প্রবৃদ্ধি ছিল সাড়ে ৮ শতাংশ। পরের মাস থেকেই পণ্য রপ্তানি আয়ে ধস নামে। নভেম্বর শেষে পণ্য রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৭৭ কোটি ডলার। এই আয় গত বছরের জুলাই-নভেম্বরের চেয়ে ৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ কম।
হঠাৎ শীর্ষ রপ্তানি আয়ের খাত তৈরি পোশাকের রপ্তানি সাড়ে ৭ শতাংশ কমে যাওয়ায় সামগ্রিকভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে রপ্তানিতে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে ১ হাজার ৩০৮ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ কম। অথচ বিদায়ী অর্থবছরে পোশাক রপ্তানি সাড়ে ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। পাঁচ মাসের ব্যবধানে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি তলানিতে চলে যাওয়াকে অবিশ্বাস্য বলছেন পোশাকশিল্পের অনেক মালিক। ওভেন ও নিট উভয় পোশাকের রপ্তানি কমে গেছে। অবশ্য তাঁদের কেউ কেউ আশায় বুক বাঁধছেন, শিগগিরই পোশাকের রপ্তানি আবার বাড়বে। অবশ্য অন্য পক্ষ বলছেন, অবস্থার উন্নতি হবে না।
এদিকে চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই প্রবাসী আয় বাড়ছে। অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে ৭৭১ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৪২ কোটি ৫৭ লাখ ডলার বেশি। গত ১ জুলাই থেকে সরকার প্রবাসী আয়ে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে। এ জন্যই প্রবাসী আয়ে একধরনের স্বস্তির নিশ্বাস ফেলার সুযোগ ঘটেছে।
শেয়ারবার্তা / হামিদ