ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য রপ্তানিতে (২০২১-২০২২ অর্থবছরে) বিশেষ অবদানের জন্য জাতীয় রপ্তানি ট্রফি’র স্বর্ণ পদক পেয়েছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। আগের অর্থবছরেও জাতীয় রপ্তানি ট্রফি অর্জন করেছিল বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ রপ্তানিকারক মাল্টিন্যাশনাল এই ইলেকট্রনিক্স প্রতিষ্ঠান।
দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ রবিবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ৩২টি পণ্য খাতের মোট ৭৭টি প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি’র স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদক প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য রপ্তানিতে স্বর্ণ পদক অর্জন করেছে ওয়ালটন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে জাতীয় রপ্তানি ট্রফির স্বর্ণ পদক গ্রহণ করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান পরিচালক এস এম নূরুল আলম রেজভী। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি টিপু মুনশি।
পুরস্কার প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক এস এম নূরুল আলম রেজভী বলেন, এক সময়ের সম্পূর্ণ আমদানি নির্ভরতা কাটিয়ে বাংলাদেশ এখন ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিদেশে রপ্তানি করছে। নিঃসন্দেহে এটা অত্যন্ত গর্বের। এরই স্বীকৃতিস্বরূপ ওয়ালটনকে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান করায় সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।
তিনি জানান, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন শিল্পের টেকসই বিকাশে বাংলাদেশের এক উজ্জ্বল ভবিষ্যত তৈরি করছে ওয়ালটন। বর্তমানে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, ইউরোপ ও আমেরিকার ৪০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি করছে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য। প্রচুর পরিমান বৈদেশিক মুদ্রার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যাপক সুনাম অর্জন করছে ওয়ালটন। এতে করে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল হচ্ছে।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো’র ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং বাণিজ্য সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন।
ওয়ালটনের গ্লোবাল বিজনেস শাখা জানায়, দেশের রপ্তানিমুখী ইলেকট্রনিক্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হলে উন্নত বিশ্বে রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে পথ আরো সুগম হবে। পাশাপাশি এসব প্রতিষ্ঠানকে সহজ শর্তে সহজ সুদে ব্যাংক ঋণ প্রদান করা হলে দেশের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স পণ্যের রপ্তানি আয় কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে।
বিশ্বের অন্যতম সেরা গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন। ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ উন্নত বিশ্বের বাজারে রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে কাজ করছে। বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের উদ্ভাবনী পণ্যের পাশাপাশি ইউরোপ ও আমেরিকার স্ট্যান্ডার্ড, আবহাওয়া এবং ক্রেতাদের চাহিদা ইত্যাদি বিষয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা চালাচ্ছে ওয়ালটনের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টারের প্রকৌশলীরা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বড় বড় মেলাতেও অংশ নিচ্ছে ওয়ালটন। ইতোমধ্যে ২০২৩ সালে আমেরিকার লাস ভেগাসে কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্সের সর্ববৃহৎ মেলা ‘সিইএস ফেয়ার’ এবং চীনের ক্যান্টন ফেয়ারে অংশ নিয়ে ভালো সাড়া পেয়েছে ওয়ালটন।