গত এক সপ্তাহে (০৭-১১ জুলাই) শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা গায়েব হয়ে গেছে। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
আলোচ্য সপ্তাহের শুরুতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭১ হাজার ৬৩ কোটি টাকা। যা সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে কমে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৬৫২ কোটি টাকায়। এরফলে সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছেন ৭ হাজার ৪১১ কোটি টাকা।
তবে আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেন বেড়েছে। তবে অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম এক্সচেঞ্জে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে।
সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯.২২ পয়েন্ট বা ০.১৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৫০৬.৭৮ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১.১৭ পয়েন্ট বা ০.১০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২০৭.৫৩ পয়েন্টে।
এছাড়া, ডিএসই-৩০ সূচক ৮.৯৮ পয়েন্ট বা ০.৪৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৪২.৩৬ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক ২৯.২৬ পয়েন্ট বা ১.৯৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫০৮.৬৬ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৮টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২২০টির, কমেছে ১৫৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টি প্রতিষ্ঠানের।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকার।
এতে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা বা ৮০.৫৬ শতাংশ।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৯৪.০৮ পয়েন্ট বা ১.৯০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৭৫৭.৬০ পয়েন্টে।
সিএসইর অপর সূচক সিএসসিএক্স ১৭০.১৪ পয়েন্ট বা ১.৮২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৪৮৫.২০ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৩০ সূচক ১৩৭.৬৭ পয়েন্ট বা ১.১৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ২৯৩.৯২ পয়েন্টে।
সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৫৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৪৬টি, কমেছে ৮৭টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির।
সপ্তাহটিতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২৬১ কোটি ৮৯ লাখ ৬৭ হাজার ১১৮ টাকার। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬৬৮ কোটি ৮ লাখ ৬ হাজার ২২৮ টাকার।
অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ৪০৬ কোটি ১৮ লাখ ৩৯ হাজার ১০৯ টাকা বা ৬০.৭৯ শতাংশ।