দেশের দ্বিতীয় স্টক এক্সচেঞ্জ চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) দুই ব্যবস্থাপক এবং তিনজন উপ-ব্যবস্থাপকসহ মোট আট কর্মকর্তাকে স্বেচ্ছায় অবসর স্কিমের (ভিআরএস) আওতায় বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়ার চাপ দেওয়া হচ্ছে।
আট কর্মকর্তা হলেন- ব্যবস্থাপক মো. নুরুল আজিম ও মো. ইমতিয়াজুল ইসলাম। উপ-ব্যবস্থাপক নাজিম বিন নজরুল, রাহী ইফতেখার রেজা ও মাসুদা বেগম; সহকারী ব্যবস্থাপক মো. আলী রাগেব; চৌধুরী তানভীর সালাহউদ্দিন এবং সিনিয়র অফিসার শাহিন আক্তার।
সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম সাইফুর রহমান মজুমদার গত ২৭ জুন পৃথকভাবে এই ৮ কর্মকর্তাকে এই সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছেন।
চিঠিতে ৮ কর্মকর্তাকে আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে অবসর গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। যদি স্বেচ্ছায় অবসর না নেওয়া হয় তাহলে কতৃপক্ষ মানব সম্পদ প্রক্রিয়ায় পদক্ষেপ নিবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, পরবর্তী পরিস্থিতিতে সামগ্রিক ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণকে নতুন করে সাজানোর জন্য সিএসইর পরিচালনা পর্ষদ বৈঠকে জনবল রদবদল করার জন্য বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে, সোমবার (০৮ জুলাই) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি পাঠিয়ে তাঁর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
চিঠিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এই জোরপূর্বক পদত্যাগে সফল হয়, তাহলে আমরা আমাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সমস্যায় পড়ব, এতে শুধুমাত্র সিএসই’র ভাবমূর্তিই নয়, পুরো শেয়ারবাজারের ভাবমূর্তিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
চিঠিতে তারা আরও বলেন, সিএসই পরিচালনা পর্ষদ সম্প্রতি কর্মীদের জন্য ভিআরএস স্কিম পাস করেছে। দুর্ভাগ্যবশত, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমাদের, আট কর্মচারীকে স্কিমটি গ্রহণ করার জন্য চিঠি দিয়েছেন এবং যদি আমরা স্কিমটি গ্রহণ না করি তাহলে আমাদের আমাদের পদত্যাগের জন্য বাধ্য করবে। সেখানে আমাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ বা নিয়ম বা আইন লঙ্ঘন ছাড়াই পদত্যাগ করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
চিঠিতে তারা দাবি করছেন, সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমাদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করার জন্য চিঠি পাঠিয়েছেন, যা বেআইনি এবং অমানবিক। এছাড়াও সিএসইর শীর্ষ পরিচালনা পর্ষদ শীঘ্রই আমাদের আরও সহকর্মীদের চিঠি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।