দীর্ঘদিন পর শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা ভালো একটি সপ্তাহ পার করেছে। শুরুতে শঙ্কার ধাক্কা দেখলেও পরের তিন কর্মদিবস ভালো উত্থান দেখেছে। আর শেষদিনে রেকর্ড উত্থানে তাদের ভরসার জায়গা কিছুটা হলেও শক্ত হয়েছে। এদিন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিনিয়োগ করার আইনত সুযোগ আসছে-এমন খবরে বাজারের চাঙ্গাভাব অনেক বেশি গতিশীল হয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহে ব্যাংক ক্লোজিংয়ের কারণে ০১ জুলাই শেয়ারবাজারের লেনদেন বন্ধ ছিল। ফলে সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া চার কর্মদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ১৪২ পয়েন্ট এবং বিনিয়োগকারীদের মূলধন ফিরেছে ৯ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা।
সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর প্রধান সূচক ছিল ৫ হাজার ৩৫৫ পয়েন্ট। যা সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ১৪২ পয়েন্ট বা ২.৬৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৯৭ পয়েন্টে।
অন্যদিকে, সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৬১ হাজার ৫০৮ কোটি টাকা। যা সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭১ হাজার ৬৩ কোটি টাকায়।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৩টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে।এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩২৯টি, কমেছে ২৪টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪০টি প্রতিষ্ঠানের। যা গত কয়েক মাসর বিনিয়োগকারীরা প্রত্যক্ষ করলো।
বিদায়ী সপ্তাহে ৪ কর্মদিবসে ডিএসইতে ২ হাজার ৪৬৩ কোটি ৩০ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে ৫ কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৮০২ কোটি ১৩ লাখ ৪০ হাজার টাকার।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৭৪.৯২ পয়েন্ট বা ২.৪৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৪৬৩.৫২ পয়েন্টে।
সিএসইর অপর সূচক সিএসসিএক্স ২২৮.৫৭ পয়েন্ট বা ২.৫১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৩১৫.০৬ পয়েন্টে।
অপর ২টি সূচকের মধ্যে সিএসই-৫০ সূচক ১৮.৫৫ পয়েন্ট বা ১.৭০ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক ২৯.১৩ পয়েন্ট বা ২.৯৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে- এক হাজার ১০.২২ পয়েন্টে এবং এক হাজার ১৪.৬৫ পয়েন্টে।
সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩২৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৩৭টি, কমেছে ৬৩টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির।
সপ্তাহটিতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৬৬৮ কোটি ৮ লাখ ৬ হাজার ২২৮ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩০৮ কোটি ৮২ লাখ ৫২ হাজার ৯৪ টাকার।