সকল শ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের বিস্তৃত অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করার লক্ষে খুব দ্রুত সেকেন্ডারি মার্কেটে সরকারি শেয়ার লেনদেনের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেন।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিএসইসি’র বোর্ড রুমে বাংলাদেশ ব্যাংক, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং বিএসইসি’র সমন্বয়ে গঠিত ত্রি-পক্ষীয় বৈঠকে এমন গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি।
বৈঠকে ত্রি-পক্ষীয় কমিটি স্টক এক্সচেঞ্জ প্লাটফর্মে সরকারী সিকিউরিটিজ লেনদেন সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে হস্তান্তর করে এবং প্রতিবেদনটির উপর একটি ধারণা উপস্থাপন করা হয়। উক্ত আলোচনা সভায় কমিশনারগণ, নিবার্হী পরিচালকবৃন্দ ও কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রতিবেদন এক্সচেঞ্জগুলোতে সরকারী সিকিউরিটিজ লেনদেনের বিভিন্ন সম্ভাব্যতা তুলে ধরা হয়, যা দ্বারা দেশব্যাপী স্ক্রীণ ভিত্তিক স্বয়ংক্রিয় ট্রেডিং প্লাটফর্মের মাধ্যমে সকল শ্রেণীর বিনিয়োগকারী তথ্যভিত্তিক লেনদেনের সুবিধা পাবে। যা সরকারী সিকিউরিটিজ প্রাণবন্ত (Vibrant) সেকেন্ডারী মার্কেটের মাধ্যমে সরকারী সিকিউরিটিজের যথাযথ মূল্য নির্ধারণে সহায়তা করবে এবং সরকারের ঋণ গ্রহণের সুদ কমে যাবে। এছাড়াও শেয়ারবাজারে সরকারী ফিক্সড ইনকাম সিকিউরিটিজ সূচনার মাধ্যমে পণ্যের বৈচিত্রকরণের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
উল্লেখ্য, কমিশনের উদ্যোগে গত ১৩ নভেম্বর, ২০১৯ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৯ সদস্যের একটি ত্রিপক্ষীয় কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
শেয়ারবার্তা / হামিদ