শরীরে জমে থাকা যাবতীয় দূষিত পদার্থ বের করা বা বডি ডিটক্সিফিকেশন খুবই জরুরি বিষয়। এই প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে তবেই আপনি সুস্থ থাকবেন। বেশ কিছু বডি ডিটক্স পানীয় আছে, যেগুলো শরীরের ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করবে। জেনে নিন কী কী-
লেবুর রস মেশানো পানি
বডি ডিটক্সের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে লেবুপানি। এক্ষেত্রে প্রতিদিন পাতিলেবুর রস সামান্য গরম পানিতে মিশিয়ে পান করতে পারেন। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি শরীর থেকে যাবতীয় দূষিত পদার্থ বের করে আনতে সাহায্য করে।
শসা
শসা দিয়েও তৈরি করে নেওয়া যায় ডিটক্স ওয়াটার। এজন্য ঠান্ডা পানিদে শসার টুকরো, লেবুর রস ও পুদিনা পাতা মিশিয়ে সারারাত ফিজে রেখে সকালে পানি নরমাল করে পান করুন।
শসা এমন একটি ফল যা আমাদের শরীরে ফ্লুইড ও মিনারেলসের মাত্রা সঠিকভাবে বজায় রাখে। বডি ডিটক্সের পাশাপাশি শরীর হাইড্রেটেড রাখতেও সাহায্য করে।
ডাবের পানি
ডাবের পানির স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে সবারই কমবেশি ধারণা আছে। শরীর থেকে দূর করে দূষিত পদার্থগুলো। শরীর ঠান্ডা রাখতেও সাহায্য করে ডাবের পানি। ইলেকট্রোলাইটসে ভরপুর এই পানীয় শরীর হাইড্রেটেড রাখে। খনিজ উপকরণের ঘাটতি হতে দেয় না।
চিয়া সিডস
চিয়া সিডস শুধুই ওজন কমায় না। বডি ডিটক্সের ক্ষেত্রেও কাজে লাগে চিয়া সিডস। তাই চিয়া সিডস ভেজানো পানি খেলে অনেক উপকার পাবেন আপনি।
চিয়া সিডসের মধ্যে আছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এই উপকরণ খেয়াল রাখে অন্ত্রের স্বাস্থ্যের। এছাড়া শরীর জমে থাকা সব দূষিত পদার্থ দূর করে।
অ্যালোভেরা জুস
অ্যালোভেরা শুধু যে ত্বক কিংবা চুলের যত্নে ব্যবহার করা যায় তা নয়। অ্যালোভেরা জুস একটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর পানীয় যা সার্বিকভাবে আমাদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে।
অ্যালোভেরার রসে থাকা উপকরণগুলোর আমাদের শরীর থেকে সমস্ত দূষিত পদার্থ উপকরণ বের করতে সাহায্য করে। বাড়িতে অ্যালোভেরা গাছ থাকলে খুবই ভালো। না হলে বাজার থেকে কিনে নিতে পারেন অ্যালোভেরা জুস।
সূত্র: এবিপি নিউজ