বাংলাদেশে বছরে প্রায় ২০ হাজার মানুষ ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। এছাড়াও উন্নত বিশ্বে প্রতি এক লাখ মানুষের মাঝে ১৫ জন মানুষ ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়। তবে তৃতীয় বিশ্বের প্রতি এক লাখ মানুষের মাঝে চার জন মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়। রেডিয়েশনসহ বিভিন্ন কারণে ব্রেন টিউমার হতে পারে বলে জানান তারা।
রোববার (৯ জুন) দুপুরে বিশ্ব ব্রেন টিউমার দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) শহীদ ডা. মিল্টন হলে এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জনস।
সেমিনারে বক্তারা জানান, বাংলাদেশে প্রতি বছর তিন হাজার ব্রেন টিউমার সার্জারি হচ্ছে। নিউরোসার্জিক্যাল সেন্টারগুলোকে আধুনিক যন্ত্রপাতি সুসজ্জিত করলে এবং দেশের সব জেলা হাসপাতালে নিউরোসার্জারি সেবা চালু করলে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ব্রেন টিউমার, হেড ইনজুরিতে চিকিৎসার সুযোগ পাবে। সময়মতো ব্রেন টিউমার অপারেশন করলে ব্রেন টিউমার ভালো হয় এবং মৃত্যুঝুঁকি ও পঙ্গুত্বের হার কমে যায়।
বক্তারা আরও বলেন, তরুণ প্রজন্মের নিউরো সার্জনরাই সারা বিশ্বে বাংলাদেশের নেতৃত্বে দেবে। একই সঙ্গে তরুণ নিউরো সার্জনরা দক্ষ ও আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর চিকিৎসা দিতে পারদর্শী। আধুনিক ও প্রযুক্তি নির্ভর ব্রেন টিউমার অপারেশনে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে।
বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বলেন, বাংলাদেশে নিউরো সার্জারির অনেক উন্নতি হয়েছে। বিএসএমএমইউ নিউরো সার্জারির উন্নয়নে কাজ করছে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত উদ্যোগে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সাইন্স হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। দেশের ২০টি বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে নিউরোসার্জারি চালু আছে। নিউরো সার্জারিতে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে বিএসএমএমইউ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, কম্বাইন্ড মেডিকেল হসপিটাল, রংপুর মেডিকেল কলেজে এমএস নিউরো সার্জারি কোর্স চালু করা হয়েছে। আশা করি ২০৩২ সালে সব জেলা হাসপাতালে নিউরো সার্জারি বিভাগে সেবা চালু হবে । এতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী নিউরো সার্জারির সেবা পাবেন।