দেশের শেয়ারবাজার গত সপ্তাহেও (২৬-৩০ মে) পতনে হয়েছে। যাতে করে গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছে ৪ হাজার ১৪৪ কোটি টাকা। যার পরিমাণ এর আগের ২ সপ্তাহে ছিল ৫৮ হাজার ১৮৩ কোটি টাকা। এতে করে গত ৩ সপ্তাহে বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছে ৬২ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা।
জানা গেছে, গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬ কোটি টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৪৮ হাজার ৯২২ কোটি টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৪ হাজার ১৪৪ কোটি টাকার।
এর আগের ২ সপ্তাহে বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছে ৫৮ হাজার ১৮৩ কোটি টাকা। যাতে গত ৩ সপ্তাহে বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছে ৬২ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা।
গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১ হাজার ৯৫০ কোটি ৭৫ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৭০ কোটি ৩ লাখ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১১৯ কোটি ২৮ লাখ টাকার বা ৬ শতাংশ।
সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬০ পয়েন্ট বা ১.১৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫২৫২ পয়েন্টে। যা এর আগের ২ সপ্তাহে কমেছিল ৩৪৯ পয়েন্ট। এমন পতনে সূচকটি ৩ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে গেছে। গত সপ্তাহে অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৩৩ পয়েন্ট বা ১.৭২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮৭৫ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯০ টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৫ টির বা ২৯.৪৯ শতাংশের, কমেছে ২৪৮ টির বা ৬৩.৫৯ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭ টির বা ৬.৯২ শতাংশের।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২৬৬ কোটি ২২ লাখ টাকার। সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৩১ পয়েন্ট বা ২.১৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৫০৭২ পয়েন্টে।
সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩২৩ টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৭৩ টির দর বেড়েছে, ২২৫ টির দর কমেছে এবং ২৫ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।