শেয়ারবাজারে দরপতনের ধারা অব্যাহত রয়েছে। দেখা দিয়েছে লেনদেন ভাটা। এমন পরিস্থিতিতে লেনদেনের দিক থেকে কিছুটা হলেও দাপট দেখিয়েছে বীমা খাত। বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) খাত ভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষ স্থানে রয়েছে বীমা খাতের কোম্পানিগুলো।
তবে লেনদেনে বীমা খাত কিছুটা দাপট দেখানোর পরও ডিএসইতে গড় লেনদেন দুইশ কোটির ঘর ছাড়াতে পারেনি। বরং লেনদেনের গতি আরও কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। ডিএসইতে প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে সাড়ে ৩ শতাংশের ওপরে। সেই সঙ্গে বড় পতন হয়েছে মূল্য সূচকের। ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক কমেছে প্রায় এক শতাংশের ওপরে। সূচকের পাশাপাশি মোটা অঙ্কে বাজার মূলধনও কমেছে।
বিদায়ী সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ২৬৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ২৭৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা বা ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
গত সপ্তাহে শীর্ষে থাকা বীমা খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪১ কোটি ৬২ লাখ ১০ হাজার টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে বীমা খাতের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬৬ কোটি ৪৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা, যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৬ শতাংশ।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বীমা খাতের কোম্পানিগুলো আগামী ফেব্রুয়ারি থেকেই বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ ঘোষণা শুরু করবে। এ কারণে আগামী ২-৩ মাস বীমা খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ থাকবে এবং কোম্পানিগুলোর লেনদেন আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। লেনদেন বৃদ্ধির পাশাপাশি এখাতের কোম্পানির শেয়ার দরেও গতি আসতে পারে।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৪ শতাংশ হয়েছে। প্রতি কার্যাদিবসে গড়ে ৩০ কোটি ৪৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থান দখল করেছে ওষুধ ও রসায়ন খাত।
বাকি খাতগুলোর মধ্যে প্রকৌশল খাতের কোম্পানিগুলার গড়ে ৩০ কোটি ২৭ লাখ ৭০ হাজার, ব্যাংক খাতের ২০ কোটি ২৮ লাখ, জ্বালানি খাতের ২০ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের ১৩ কোটি ৭ লাখ ৩ হাজার, বিবিধ খাতের ১২ কোটি ৮৭ লাখ ৪০ হাজার, খাদ্য খাতের ১১ কোটি ২৯ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
বাকি খাতগুলোর প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেনের পরিমাণ এককভাবে ১০ কোটি টাকার কম। এরমধ্যে আর্থিক খাতের ৮ কোটি ৪৯ লাখ, সিরামিক খাতের ৬ কোটি ৩৮ লাখ ৪০ হাজার, টেলিযোগাযোগ খাতের ৬ কোটি ২ লাখ ২০ হাজার, মিউচুয়াল ফান্ড খাতের ৪ কোটি ৯৪ লাখ ৯০ হাজার এবং চামড়া খাতের ৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।
এছাড়া পাট খাতের ৩ কোটি ৩৫ লাখ ১০ হাজার টাকা, সিমেন্ট খাতের ৩ কোটি ১৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা, পেপার ও প্রিন্টিং খাতের ১ কোটি ৮৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ১ কোটি ৩১ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং সেবা ও আবাসন খাতের ১ কোটি ২ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
শেয়ারবার্তা / আনিস