শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৩টি কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে ২৬টি কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’২৪) অনিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবদেন প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’২৪) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ১৫ কোম্পানির। একই সময়ে আয় কমেছে ৭ কোম্পানির এবং লোকসানে রয়েছে ৪ কোম্পানি। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
আয় বৃদ্ধির কোম্পানিগুলো হলো- স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, কোহিনূর ক্যামিকেলস, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, ওরিয়ন ইনফিউশন, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, রেনেটা, এসিআই ফর্মুলেশনস, একমি ল্যাবরেটরিজ, ফার ক্যামিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ, এমবি ফার্মা, জেএমআই সিরিঞ্জ, ফার্মা এইডস, জেএমআই হসাপিটাল, সালভো কেমিক্যাল এবং ইবনে সিনা।
স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস
চলতিঅর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২৪-মার্চ’২৪) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৫৫ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ৪ টাকা ৮৩ পয়সা আয় হয়েছিল। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৭২ পয়সা।
অন্যদিকে তিন প্রান্তিক (জুলাই ২৩-মার্চ ২৪) মিলিয়ে কোম্পানিটির ১৮ টাকা ২৪ পয়সা আয় হয়েছে। গতবছর একই সময়ে ১৬ টাকা ৮২ পয়সা আয় হয়েছিল।
কোহিনূর ক্যামিকেলস
তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২৪-মার্চ’২৪) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৭৩ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ০৩ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৭০ পয়সা।
অন্যদিকে তিন প্রান্তিক (জুলাই ২৩-মার্চ ২৪) মিলিয়ে কোম্পানিটির ৯ টাকা ৭৯ পয়সা আয় হয়েছে। গতবছর একই সময়ে ৮ টাকা ১৫ পয়সা আয় হয়েছিল।
অ্যাডভেন্ট ফার্মা
তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২৪-মার্চ’২৪) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ২৯ পয়সা আয় হয়েছে। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ২৮ পয়সা আয় হয়েছিল। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ১ পয়সা।
অন্যদিকে তিন প্রান্তিক মিলিয়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৯১ পয়সা। গতবছর একই সময়ে ৯৮ পয়সা আয় হয়েছিল।
ওরিয়ন ইনফিউশন
তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২৪-মার্চ’২৪)কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩৯ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যা ছিল ৩৮ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ১ পয়সা।
হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৯ মাসে (জুলাই’২৩-মার্চ’২৪) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৪৫ পয়সা। যেখানে আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৪১ পয়সা।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস
তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২৪-মার্চ’২৪) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ০৬ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ২ টাকা ১৩ পয়সা আয় হয়েছিল। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ১ টাকা ৬ পয়সা।
অন্যদিকে তিন প্রান্তিক মিলিয়ে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ৯ টাকা ৭৫ পয়সা। গতবছর একই সময়ে ৮ টাকা ১৫ পয়সা আয় হয়েছিল।
রেনেটা
তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২৪-মার্চ’২৪) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ৩৮ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ৫ টাকা ০৬ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ১ টাকা ৩২ পয়সা।
অপরদিকে, অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই,২৩-মার্চ,২৪) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২২ টাকা ৯৫ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ২৩ টাকা ৩৪ পয়সা।
এসিআই ফর্মুলেশনস
তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২৪-মার্চ’২৪) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ০৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৩৩ পয়সা আয় হয়েছিল। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৮১ পয়সা।
অন্যদিকে তিন প্রান্তিক (জুলাই ২৩-মার্চ ২৪) মিলিয়ে কোম্পানিটির ৬ টাকা ৩৮ পয়সা আয় হয়েছে। গতবছর একই সময়ে ৫ টাকা ৩৬ পয়সা আয় হয়েছিল।
একমি ল্যাবরেটরিজ
তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২৪-মার্চ’২৪)কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৭৫ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ২ টাকা ৫৩ পয়সা আয় হয়েছিল। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ২২ পয়সা।
অন্যদিকে তিন প্রান্তিক (জুলাই ২৩-মার্চ ২৪) মিলিয়ে কোম্পানিটির ৮ টাকা ৫৩ পয়সা আয় হয়েছে। গতবছর একই সময়ে ৭ টাকা ৯৮ পয়সা আয় হয়েছিল।
ফার ক্যামিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ
তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২৪-মার্চ’২৪) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০৬ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ৪৩ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
অন্যদিকে তিন প্রান্তিক (জুলাই ২৩-মার্চ ২৪) মিলিয়ে কোম্পানিটির ২৬ পয়সা আয় হয়েছে। গতবছর একই সময়ে ৫৪ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
এমবি ফার্মা
তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২৪-মার্চ’২৪) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ৭০ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ১০ পয়সা।
অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জুলাই’২৩-মার্চ’২৪) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা আগের বছর একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ১ টাকা ৩৬ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৬৪ পয়সা।
জেএমআই সিরিঞ্জ
তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২৪-মার্চ’২৪) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ১১ পয়সা।
অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জুলাই’২৩-মার্চ’২৪) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ১ টাকা ৮ পয়সা।
ফার্মা এইডস
তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২৪-মার্চ’২৪) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৭ টাকা ৪৬ পয়সা আয় হয়েছে। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ২১ পয়সা লোকসান হয়েছিল। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৮ টাকা ৬৭ পয়সা।
অন্যদিকে তিন প্রান্তিক (জুলাই ২৩-মার্চ ২৪) মিলিয়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৮ টাকা ৩৭ পয়সা। গতবছর একই সময়ে ০৫ পয়সা আয় হয়েছিল।
জেএমআই হসাপিটাল
তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২৪-মার্চ’২৪) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৫৬ পয়সা আয় হয়েছে। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৫৪ পয়সা । অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ২ পয়সা।
অন্যদিকে তিন প্রান্তিক (জুলাই ২৩-মার্চ ২৪) মিলিয়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৭৩ পয়সা। গতবছর একই সময়ে ৫৯ পয়সা আয় হয়েছিল।
সালভো কেমিক্যাল
তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২৪-মার্চ’২৪) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৬৬ পয়সা আয় হয়েছে। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৪২ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ২৪ পয়সা।
অন্যদিকে তিন প্রান্তিক (জুলাই ২৩-মার্চ ২৪) মিলিয়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৯৭ পয়সা। গতবছর একই সময়ে ১ টাকা ৪২ পয়সা আয় হয়েছিল।
ইবনে সিনা
অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৪) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৩১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২ টাকা ৯৯ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ১ টাকা ৩২ পয়সা।
অন্যদিকে তিন প্রান্তিক মিলিয়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৬ টাকা ২৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ১৩ টাকা ৫২ পয়সা ছিল কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস।