দেশের বিভিন্ন স্থানে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গত কয়েক দিনের তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। গরমের কারণে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন রোগে।
ঋতু বদলের কারণে এ সময় সর্দি–কাশি, জ্বর ও পেটের পীড়ার মত বিভিন্ন রোগ হতে পারে। ঠান্ডা–গরমের তারতম্যের কারণে এসব রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যেতে পারে।
এ ছাড়া তাপমাত্রার পার্থক্যের জন্য হজমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই তীব্র গরমে বেশি তেল মশলাযুক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো।
তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে শরীরের তাপমাত্রা একটা পর্যায়ে পৌঁছালে তা শরীরের জন্য অসহনীয় হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতি হিট স্ট্রোক নামে পরিচিত। গ্রীষ্মের গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। গরমে নিজেকে সুস্থ রাখা অনেক বেশি জরুরি।
তীব্র গরমে সুস্থ থাকতে জেনে নিন কিছু উপায়:
১. রোদের তীব্রতা বেশি থাকলে বাইরে বের না হওয়ার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে সকাল ১০টা থেকে ৪টা পর্যন্ত। এই সময়ে যতটা সম্ভব রোদকে এড়িয়ে চলুন।
২. নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য এই সময় ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি শাক–সবজি খেতে পারেন। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
৩. এ সময় হালকা, ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরিধান করুন। যাতে শরীরে বাতাস চলাচল করতে পারে।
৪. জীবিকা বা অন্য প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হলে ছাতা ও রোদচশমা ব্যবহার করুন। রাস্তা দিয়ে চলার সময় ছায়াযুক্ত জায়গা দিয়ে হাঁটুন।
৫. এই সময় প্রচুর পানি পান করতে হবে। বাইরে বের হলে পানির বোতল সঙ্গে নিন। পানির পাশাপাশি লেবুপানি, ডাবের পানি, জুস, খাবার স্যালাইন, ফলের রস, লাচ্ছি ও তরমুজ খেতে পারেন। এতে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেবে না।
৬. তীব্র এই গরমে ঘামাচির সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই প্রচুর পানি পান করা উচিত। সারা দিনে কমপক্ষে ১০-১২ গ্লাস পানি পান করুন।
৭. এই গরমে একাধিকবার গোসল করতে পারেন। ঘুমানোর আগে গোসল করতে পারেন। এতে শরীরের তাপমাত্রা কম থাকবে।
৮. বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন। ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার কম খান। এই সময় উল্টাপাল্টা খাবার খেলে পেটের পীড়া বা বদহজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।