শরীরে উচ্চমাত্রায় ক্ষতিকর কোলেস্টেরল থাকলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ে। এ কারণে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকসময় ঘরোয়া অনেক উপাদান কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে। সেক্ষেত্রে আদা হতে পারে অন্যতম সহজ সমাধান। বেশ কিছু পুষ্টিগুণে ভরপুর আদা চা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা কমায়। যারা উচ্চ কোলেস্টেরলে ভুগছেন তারা খাদ্যতালিকায় কেন আদা রাখবেন তা জানানো হয়েছে ‘ইন্ডিয়া ডট কমে’র এক প্রতিবেদনে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পাওয়ার হাউস: আদায় রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করে এবং প্রদাহ কমায়, যা হৃদরোগের জন্য উপকারী।
এলডিএল কমায়: নিয়মিত আদা চা পান খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএলের মাত্রা কমে। আদা চায়ে মধ্যে উপস্থিত বায়োঅ্যাকটিভ যৌগগুলি অন্ত্রে কোলেস্টেরল শোষণে বাধা দেয়, যার ফলে এলডিএল-এর মাত্রা কমে যায়।
লিভার পরিষ্কার করতে সাহায্য করে: আদা চায়ের মতো পানীয়,লিভারের কার্যকারিতাকে শক্তিশালী করে। এটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে অপরিহার্য। শক্তিশালী লিভার খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
মানসিক চাপ কমায়: অতিরিক্ত মানসিক চাপ রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। আদা চায়ে উপস্থিত নানা বৈশিষ্ট্য মানসিক চাপ কমাতে ভূমিকা রাখে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে: ওজন কমানো কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আদা চা বিপাকক্রিয়া উন্নত এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এর ফলে ওজন কমে।
অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য: দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ কার্ডিওভাসকুলার রোগ বিস্তারে ভূমিকা রাখে। আদা চায়ে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি যৌগ শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যার ফলে কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।