শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সিটি ব্যাংকের পর্ষদ সভায় ২৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ ক্যাশ ও ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড। ব্যাংক থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা যায়, প্রস্তাবিত ডিভিডেন্ড আগামী ৩০ মে ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।
ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, সমাপ্ত ২০২৩ সালে সিটি ব্যাংক ৬৩৮ কোটি টাকার কর পরবর্তী সমন্বিত নিট মুনাফা করেছে। এর আগের বছর মুনাফা করেছিলো ৪৭৮ কোটি টাকা।
অর্থাৎ, ২০২২ সালের তুলনায় পরের বছর মুনাফা বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৫ শতাংশ। এই নিট মুনাফা ঘোষণার মধ্যে দিয়ে ব্যাংকের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ২১ পয়সা, যা ২০২২ সালে ছিল ৩ টাকা ৯০ পয়সা।
আর্থিক প্রতিবেদন হতে জানা গেছে, ২০২৩ সালে ডলার সংকটের কারণে সিটি ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ থেকে আয় তার আগের বছরের তুলনায় ৭৪ শতাংশ কমেছে।
তবে ব্যাংকের আমানত ব্যয় হ্রাস পাওয়া, ভাল ঋণের প্রবৃদ্ধি হওয়া, ঋণ থেকে প্রাপ্ত মুনাফার হার ঊর্ধ্বমুখী হওয়া এবং সরকারি ট্রেজারি বিল বা বন্ড থেকে মুনাফা কিছুটা বৃদ্ধির কারণে এই ব্যাংক গত বছর মোট ১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকার পরিচালন মুনাফা অর্জন করে। যার পরিমাণ ২০২২ সালে ছিল ১ হাজার ২৩৭ কোটি টাকা।
এছাড়া ২০২৩ সালে সিটি ব্যাংক ঋণের বিপরীতে মোট ২৫৬ কোটি টাকার প্রভিশন সংস্থান বাবদ ব্যয় করেছে বলেও জানায় ব্যাংকটি।
নিট মুনাফা ৬৩৮ কোটি টাকা হওয়ার কারণে এ ব্যাংকের রিটার্ন অন ইকুয়িটি বা শেয়ারহোল্ডারদের বিনিয়োগের বিপরীতে রিটার্ন পৌঁছালো ১৭ দশমিক ৭ শতাংশে। ব্যাংকটির মোট আয়ের ২৬ শতাংশই এসেছে ফি ও কমিশন থেকে। আর এই আয়ের ৪০ শতাংশই এসেছে ব্যক্তি খাত থেকে।