সম্পর্ক গড়তে সময় লাগে না, তবে সেই সম্পর্কের যত্ন নিতে না পারলে তা দ্রুত ভেঙে যায়। দু’জন মানুষের মন যখন এক বিন্দুতে মিলে যায়, তখনই সম্পর্কের শুরু হয়।
সম্পর্ক যখন অভ্যাসে পরিণত হয়, তখন অনেকের কাছে তা একঘেয়ে হয়ে ওঠে। ফলে একে-অপরের থেকে দূরে সরে যেতে থাকেন। যদিও অনেক সময় তা আর বোঝা যায় না।
ফলে দূরত্ব মেটানোর চেষ্টাও থাকে না। দূরত্ব তৈরি হলে সম্পর্কের সমীকরণটাও আর আগের মতো থাকে না। খানিকটা হলেও বদলায়।
কোন লক্ষণগুলো দেখে বুঝবেন, আপনি ও আপনার সঙ্গী ক্রমশ দূরে চলে যাচ্ছেন-
সঙ্গীর খোঁজখবর না নেওয়া
সম্পর্কে থেকেও একে অপরের জীবনে কী চলছে না জানা, খবর না রাখা অস্বাভাবিক। কারও সঙ্গে দূরত্ব বৃদ্ধি করতে চাইলে প্রথমেই কথা বন্ধ করে দিতে হয়।
যে কোনো সম্পর্ক নষ্ট করার প্রধান অস্ত্র হলো কথা বলা বন্ধ করে করে দেওয়া। তাই যদি দেখেন, দু’জনের মধ্যে যোগাযোগ, কথার আদান-প্রদান কমে আসছে, তাহলে বুঝতে হবে সম্পর্কে দূরত্ব বাড়ছে।
গুরুত্ব কম দেওয়া
ভালবাসার মানুষটির গুরুত্ব ও প্রাধান্য জীবনে সব সময়ই বেশি থাকে। সম্পর্কে দূরত্ব বাড়তে থাকলে একে অপরের কাছে প্রাধান্য কমতে থাকে।
যদি বুঝতে পারেন, সঙ্গীর জীবনে আপনার প্রয়োজনীয়তা কমে আসছে, তা হলে একে অপরের প্রতি আরও বেশি যত্নশীল হওয়ার সময় এসেছে।
উৎসাহ হারানো
এখন আর আপনার সঙ্গী আপনার সঙ্গে মজা করতে, এক সঙ্গে সময় কাটাতে, উপভোগ করতে বিশেষ উৎসাহ দেখান না?
এই লক্ষণটিও কিন্তু জানান দেয় যে আপনাদের সম্পর্কে দুরত্ব চলে এসেছে। তাই সব দম্পতিরই উচিত সম্পর্কের একঘেয়েমিতা কাটিয়ে সঙ্গীর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলা।
বিজনেস আওয়ার/২৬ মার্চ/ এ এইচ