বাংলাদেশের অর্থনীতি আগামী চার থেকে পাঁচ বছরে অনেক উপরে উঠে আসবে। এ সময়ে বৃহৎ ৩০টি অর্থনীতির দেশের মধ্যে থাকবে বাংলাদেশ। একইভাবে ২০৪৮ সালে ২০তম অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) অডিটোরিয়ামে মঙ্গলবার আড়ম্বরপূর্ণ এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ওয়ালটন র্যামের উৎপাদন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে র্যাম উৎপাদন কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০২৮ সালে বাংলাদেশ ২৭তম অর্থনীতির দেশ হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে সঠিক পথেই চলছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে পৌঁছাতে ওয়ালটন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ওয়ালটনের কাছে দাবি থাকবে দেশে বেশি বেশি কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করা। বাংলাদেশের ছেলে-মেয়েরা অনেক দক্ষ। এদের হাত ধরে বাংলাদেশের শিল্প অনেক এগিয়ে যাবে। আমাদের দেশের জনগণ সব থেকে বড় সম্পদ। দেশের ৬১ শতাংশ মানুষ কর্মক্ষম যা বিশ্বের কোথাও নেই।
নিজের প্রতিষ্ঠানের উদাহরণ দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমার একটা লেদারশিল্প ছিল। সেখানে ফিনিশড পণ্য তৈরি করে বিদেশে পাঠানো হতো। এই শিল্পের একটা মেশিন চালাতে স্পেনের একজনকে রেখেছিলাম। তিনি আর আমার ফ্যাক্টরিতে ফেরেননি। পরে আমার দেশের দুইজন মেয়েকে দিয়ে সেই মেশিন চালিয়েছি। আমার দেশের মেয়েরা সবকিছু পারে, তারা অনেক মেধাবী। এসব মেধাবীদের কাজে লাগাতে হবে। তাদের হাত ধরেই বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের কাতারে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সামনে আমরা র্যাম রফতানি করবো। আসছে দিনে ডেল ও আসুসের ভূমিকায় আসবে ওয়ালটন। বর্তমানে আইটি খাতে এক বিলিয়ন ডলার রফতানি হচ্ছে, সামনে এটি ৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে।
দেশীয় পণ্য ব্যবহার প্রসঙ্গে পলক বলেন, বছরে প্রায় চার কোটি মোবাইল আমদানি করা হয়। বর্তমানে এক কোটি ওয়ালটন ফোন মানুষের হাতে রয়েছে। দেশে আর বিদেশি ফ্রিজ চলে না। এখন ঘরে ঘরে ওয়ালটন ফ্রিজ। আশা করি সামনেও ঘরে ঘরে ওয়ালটন ফোন চলে যাবে। ওয়ালটন একদিন বাংলাদেশের স্যামসাং হবে। বর্তমানে ওয়ালটন একটি গর্বের নাম।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম অভি, ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মো. হুমায়ূন কবীর, কম্পিউটার বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) প্রকৌশলী লিয়াকত আলী, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফিরোজ আলম, অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর মিলটন আহমেদসহ বাংলাদেশ সরকারের এবং ওয়ালটনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
শেয়ারবার্তা / আনিস