দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের বৈদেশিক রিজার্ভ কমেছে প্রায় ১১৭ কোটি ডলার। এর আগের সপ্তাহে কমেছে ৮০ লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালানগাদ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
মূলত এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল পরিশোধ ও সরকারের বিভিন্ন আমদানি পণ্যের জন্য রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি অব্যাহত রাখার কারণে রিজার্ভের পতন হচ্ছে।
খাতসংশ্লিষ্টরা জানান, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সঙ্গে কারেন্সি সোয়াপ পদ্ধতি চালুর পর রিজার্ভের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছিল। কিন্তু জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের আকুর আমদানি দায় পরিশোধের পর রিজার্ভ ১.১৫ বিলিয়ন ডলার কমে যায়। এর পরের সপ্তাহে আরও কিছুটা কমেছে রিজার্ভ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৬ মার্চে রিজার্ভ ছিল ২১.১৫ বিলিয়ন ডলার। তবে গত ২০ মার্চ শেষে বিপিএম-৬ অনুযায়ী গ্রস আন্তর্জাতিক রিজার্ভ (জিআইআর) দাঁড়িয়েছে ১৯.৯৮ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানেই রিজার্ভ কমেছে ১.১৭ বিলিয়ন ডলার। আর ১৩ মার্চ রিজার্ভ ছিল ১৯.৯৯ বিলিয়ন ডলার।
অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসেবে গত ৬ মার্চ রিজার্ভ ল ২৬.৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা গত ২০ মার্চ কমে হয়েছে ২৫.২৪ বিলিয়ন ডলার।
জানা যায়, গত ৭ মার্চ জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের আকুর দেনা বাবদ ১২৯ কোটি ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে ওই দিনই বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ কমে হয় ১ হাজার ৯৯৮ কোটি ডলার।
এরপর বাকি দিনগুলোতে ডলার বিক্রির কারণে যে রিজার্ভ কমেছে, সেটা কারেন্সি সোয়াপের মাধ্যমে আবার সমন্বয় হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে ডলারের সরবরাহ কিছুটা বাড়লেও সংকট কাটেনি। ফলে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বিক্রি অব্যাহত রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম আট (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) মাসে ৯ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে। একই সময়ে কিছু ব্যাংক থেকে এক বিলিয়ন ডলারের মতো কেনা হয়েছে।