শেয়ারবাজারে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি মার্কেন্টাইল ব্যাংক পিএলসি অনুমোদিত মূলধন ৮০০ কোটি টাকা বাড়িয়ে ২ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করবে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।
বর্তমানে ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা, যা ১২০ কোটি সাধারণ শেয়ারে বিভক্ত। এটি বাড়িয়ে ২ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করা হবে, যা ২০০ কোটি সাধারণ শেয়ারে বিভক্ত থাকবে। এজন্য ব্যাংকটির সংঘ স্মারক ও সংঘ বিধিতে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে হবে। ব্যাংকটির আসন্ন বার্ষিক সাধারণ সভায় এ-সংক্রান্ত বিশেষ প্রস্তাবে বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নেয়া হবে।
সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) কমেছে ৩৩.৮৬ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে ব্যাংকটির ইপিএস হয়েছে ২.১১ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩.১৯ টাকা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৪.২২ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৪.৮৮ টাকা।
এছাড়া ২০২৩ হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ব্যাংকটির ইপিএস হয়েছে ০.৭৮ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১.১ টাকা। আলোচ্য হিসাব বছরের তিন প্রান্তিকে ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নিট পরিচালন নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১.২২ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময় যা ছিল ৫.৫১ টাকা।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মার্কেন্টাইল ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার ২০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ১০৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১ হাজার ৪৫৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১১০ কোটি ৬৫ লাখ ৭৫ হাজার ৪৩৬। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৩৪.৩১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৬.০১, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩.৯০ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৩৫.৭৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।