শেয়ারবাজারে ব্যাংকিং খাতের শেয়ারে চমক দেখা যাচ্ছে। প্রতিদিনই বিভিন্ন ব্যাংকের শেয়ারের দাম ও লেনদেন বাড়ছে। তবে এর মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে বড় চমক দেখিয়েছে আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ার। সর্বশেষ ১৩ কার্যদিবসে ব্যাংকটির শেয়ারের দাম ৪৯ শতাংশ বেড়েছে।
ডিএসই থেকে প্রাপ্ত পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
সূত্র অনুসারে, দীর্ঘদিন ধরে আরও অনেক কোম্পানির মতো আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ারও ফ্লোরপ্রাইসে আটকে ছিল। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধজনিত পরিস্থিতিতে বাজারে দর পতন ঠেকাতে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে বাজারে ফ্লোরপ্রাইস আরোপ করেছিল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। প্রায় ১৮ মাস পর গত ১৮ জানুয়ারি ৩৫ কোম্পানি ব্যাতিত বাকীগুলোর উপর থেকে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়, যা ২১ জানুয়ারি কার্যকর হয়।
ফ্লোরপ্রাইসের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে আইএফআইসি ব্যাংকের শেযারের দাম ছিল ১১ টাকা ২০ পয়সা। ফ্লোরপ্রাইস প্রত্যাহারের পর টানা দুদিন শেয়ারের দর হারায় ব্যাংকটি। এ সময়ে শেয়ারের দাম কমে ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ। এর দাম দাঁড়ায় ৯ টাকা ৯০ পয়সা।
ফ্লোরপ্রাইস প্রত্যাহারের তৃতীয় দিনে এসে ঘুরে দাঁড়ায় এই ব্যাংকের শেয়ার। এদিন ডিএসইতে শেয়ারটির দর বৃদ্ধি পায় প্রায় ৯ শতাংশ। এরপর থেকে থেমে থেমে দর বেড়েছে ব্যাংকটির শেয়ারের। পরবর্তী ১২ কার্যদিবসের মধ্যে মাত্র ৩ দিন শেয়ারটির দাম কমেছে, বেড়েছে ৯ দিন।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) ডিএসইতে আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৮০ পয়সা বা ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ। দিন শেষে শেয়ারটির মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৮০ পয়সা।
গত ১৩ কার্যদিবসে ডিএসইতে আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৪ টাকা ৯০ পয়সা। মূল্য বৃদ্ধির হার ৪৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত গত ২২ জানুয়ারি কোনো বিনিয়োগকারী আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ারে বিনিয়োগ করে থাকলে এর মধ্যে তার ৪৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ রিটার্ন হয়েছে।
এদিকে দাম বাড়তে থাকায় আইএফআইসি ব্যাংকের মূল্য-আয় অনুপাতেও পরিবর্তন আসছে। আজ দিনশেষে ব্যাংকটির শেয়ারের মূল্য-আয় অনুপাত দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৮৬।
সর্বশেষ হিসাববছরের (২০২৩) প্রথম তিন প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭০ পয়সা। আগের বছর ব্যাংকটির ১ টাকা ৯৩ পয়সা ইপিএস হয়েছিল। প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে ধারনা করা যায়, ২০২৩ সালে ব্যাংকটির ইপিএস আগের বছরের চেয়ে বেশ কম হবে।
গত বছর ব্যাংকটি শেয়ারহোল্ডারদেরকে ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল ২ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ও ২ দশমিক ৫ শতাংশ বোনাস।