শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আরও ৩টি কোম্পানির শেয়ারের ওপর থেকে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন সীমা) প্রত্যাহার করে নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ সিদ্ধান্ত বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে কার্যকর হয়েছে। ফলে বর্তমানে ৯টি কোম্পানির শেয়ারের ওপর ফ্লোর প্রাইস বহাল থাকলো।
ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া কোম্পানি তিনটি হলো- আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, অরিয়ন ফার্মা ও রেনাটা।
এদিকে, রেকর্ড ডেটের পর বিএটিবিসি, জিপি ও রবির শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার না করা কোম্পানিগুলো হলো- বেক্সিমকো, বিএসআরএম, ইসলামী ব্যাংক, কেপিসিএল, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ও রবি।
এর আগে, ২২ জানুয়ারি ২৩টির কোম্পানির শেয়ারের ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হয়। তার আগে ১৮ জানুয়ারি ৩৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড বাদে অন্যান্য কোম্পানির ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয় বিএসইসি।
শেয়ারবাজারে লাগাতার পতন ঠেকাতে না পেরে গত চার বছরে কয়েক দফায় শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
বৈশ্বিক সংকটের কারণে শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক পতন রোধে প্রথমবার ২০২০ সালের ১৯ মার্চ ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয়, যা পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয় ২০২১ সালের ১৭ জুলাই। এরপর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই দ্বিতীয় দফায় সব শেয়ারের দরে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে সংস্থাটি। পরবর্তীতে ওই বছরের ২১ ডিসেম্বর ১৬৭ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড থেকে ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, প্রতিদিন একটি-দুটি শেয়ার কেনাবেচার বিপরীতে এক শতাংশ হারে দর কমতে থাকায় ২০২২ সালের ১ মার্চ তৃতীয় দফায় ফের ১৬৭ শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বিএসইসি।