বোনাস লভ্যাংশের ক্ষেত্রে কখনোই সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড আগ্রহী না। কারণ বোনাস লভ্যাংশে শুধুমাত্র কাগজ বৃদ্ধি পায়। এটা আসলে তেমন কোন মূল্যায়ন হয় না । সেজন্য সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড সব সময় নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার পক্ষে কাজ করে বলে জানান কোম্পানির পরিচালক ও সিইও মাহবুবুর রহমান পাটোয়ারী।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩৮ তম বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি শেয়ারহোল্ডারদের আরো বলেন, যদি আমরা আয় বৃদ্ধি করতে পারি তাহলে ডিভিডেন্ট বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান সামসুন নাহার।
সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩৮ তম বার্ষিক সাধারণ সভায় পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদিত হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.০১ টাকা। চলতি বছরের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২৫.৯১ টাকা।
মাহবুবুর রহমান আরো বলেন, এ বছর জুট সেক্টর ১১ থেকে ১২ শতাংশ গ্রোথ করেছে ইপিবি এবং সরকারের তথ্য মতে। আমরা আশা করি ভবিষ্যতে আরও বেশি গ্রোথ করবে। কিন্তু আমাদের দেশে তুলনামূলক ফ্যাক্টরি বেশি হয়ে গেছে।আমাদের ডিমান্ড এর তুলনায় অনেক বেশি ফ্যাক্টরি হয়ে গেছে অথবা কিছু কিছু ফ্যাক্টরি আছে তাদের উৎপাদন কাঠামো এত বেশি বৃদ্ধি করেছে যে পূর্বের ফ্যাক্টরি তুলোনায় প্রায় ১০ ফ্যাক্টরির প্রোডাক্ট এক ফেক্টোরিই উৎপাদন করতে পারছে । যেটা অন্য দশটা ফ্যাক্টরির জন্য হুমকিস্বরূপ।
তিনি বলেন, গভমেন্টের যে পাট মন্ত্রণালয় রয়েছে তারা শুধু বিজেএমসিকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিজেএমসিকে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে অথচ তারা এ সেক্টরকে কোনো ইনপ্রুভ করতে পারছে না। শ্রমিকদেরকে বসিয়ে বসিয়ে বেতন দিতে হচ্ছে।এটার অর্ধেকও যদি প্রাইভেট সেক্টরে দেয়া হতো তাহলে জুট সেক্টরের অনেক পরিবর্তন হত।
সরকারের কাছে প্রাইভেট সেক্টরের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার আবেদন করা হয়েছে। যদি সেটা দেয়া হয় তাহলে প্রাইভেট সেক্টর অনেক উন্নতি লাভ করবে।
তিনি বলেন আমাদের লোন বৃদ্ধি হয়েছে আরও বৃদ্ধি পাবে।কারণ আমাদের ফ্যাক্টরিকে আরো মডারেট করার জন্য খরচ বৃদ্ধি পাবে। সে জন্য আমাদের লোনের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে। ইতিমধ্যে আমরা সোনালী ব্যাংকে আবেদন করেছি। এটা এখনও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।যেহেতু সোনালী ইন্ডাস্ট্রিজের অনেক জমিন রয়েছে সে জমিন গুলোকে ভাড়া দিয়ে আয় বৃদ্ধি করা যায় কিনা সে ব্যাপারে কোম্পানি এখন চিন্তা করছে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানির পরিচালক জাফর আহমেদ পাটোয়ারী, মহসিনা পাটোয়ারী, নাবিহা পাটোয়ারী কোম্পানির স্বতন্ত্র পরিচালক মহিদুল ইসলাম মাহমুদ এবং কোম্পানির সেক্রেটারি মাকছুদ আহমেদসহ শেয়ারহোল্ডারবৃন্দ।
শেয়ারবার্তা/ সাইফুল