শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কেয়া কসমেটিকসের ২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) হয়েছিল ২০২১ সালের জানুয়ারিতে। তারপরের দুই অর্থবছরের (২০২০-২১ ও ২০২১-২২) এজিএম মূলতবী রয়েছে। কোম্পানিটি ওই দুই বছরের এজিম অনুষ্ঠানের জন্য হাইকোর্টের কাছে অনুমতি চেয়েছে।
যখন কোনো কোম্পানি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এজিএম করতে ব্যর্থ হয়, তখন শেয়ারবাজারের নিয়ম অনুসারে মুলতুবি এজিএম সম্পন্ন করার জন্য হাইকোর্টের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়।
শেয়ারবাজারের ওই নিয়ম মানতে প্রসাধনী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানটি গত ২০ আগস্ট হাইকোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করেছে।
কোম্পানিটি একসময় প্রসাধনী শিল্পে একটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ছিল কিন্তু দুর্বল নেতৃত্ব এবং অব্যবস্থাপনার কারণে এটি দুর্বল অবস্থায় পড়ে।
প্রায় এক দশক আগে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪০ টাকায়। বর্তমানে মাত্র ৬ টাকা ৪০ পয়সায় ফ্লোর প্রাইসে আটকে আছে।
এদিকে, চলতি বছরের মে মাসে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কোম্পানিটির গত পাঁচ বছরের আর্থিক বিবরণী তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। কারণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদনে অমিলের সন্দেহ করেছে।
অন্যদিকে, খেলাপি ঋণ নিয়ে সোনালী ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংকের সঙ্গে কোম্পানিটির দুটি আইনি লড়াই চলছে।
এছাড়া, ২০২১ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন কেয়া কসমেটিকসের মালিক আবদুল খালেক পাঠান, তার স্ত্রী এবং তাদের তিন সন্তানের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ১৮৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকার বেশি সম্পদ অর্জন এবং ৯৬ কোটি ২৯ লাখ টাকার বেশি সম্পদ গোপন করার অভিযোগে পাঁচটি মামলা দায়ের করেছে।
কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন সংক্রান্ত কোনো তথ্য ডিএসইর আর্কাইভে পাওয়া যায়নি