এগ্রো অর্গানিকা শেয়ারবাজারে আসতে ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়েছে। কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার সংখ্যা বাড়লেও মূলধন বৃদ্ধির অর্থ জমা হয়নি এগ্রো অর্গানিকায়।
কোম্পানিটি তালিকাভুক্ত হতে বোনাস শেয়ারসহ প্লেসমেন্টে দ্রুত পরিশোধিত মূলধন বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া রয়েছে বিতর্কিত শেয়ার মানি ডিপোজিটকে শেয়ার রুপান্তর। শেয়ার মানি ডিপোজিট অ্যাগ্রো অর্গানিকায় আইপিওতে আসার আগে ছিল। যেগুলোকে আইপিওতে আবেদনের আগে শেয়ারে রুপান্তর করা হয়েছে।
সম্প্রতি একটি কোম্পানির শেয়ার মানি ডিপোজিট নিয়ে বিতর্ক উঠে। যার ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনও আছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে শেয়ার মানি ডিপোজিটবাবদ কোন অর্থ কোম্পানিতে জমা দেওয়া হয়নি বলে বিএসইসির অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। যে কারনে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন কমানোর উদ্যোগ নেয় বিএসইসি। ওই কোম্পানির মত এগ্রো অর্গানিকা ও কারসাজির করেছে ।
এগ্রো অর্গানিকার ৩৮.৩০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের প্রায় পুরোটাই বা ৯৯.৩০ শতাংশ ইস্যু করা হয়েছে ২০১৯-২০ অর্থবছরে। যার প্রায় পুরোটাই শেয়ার মানি ডিপোজিট ও বোনাস শেয়ার থেকে ইস্যু করা হয়েছে। নগদ অর্থের উৎসের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি ০.৪৮ কোটি টাকার ঋণকে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু কোম্পানিটিতে ৮.১৪ বোটি টাকার স্বল্পমেয়াদি ঋণ রয়েছে। এই ঋণও বাহির থেকে নগদ অর্থের উৎস।