ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহজুড়ে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্র্তিত থাকলেও সূচকের পতন দেখা গেছে, একইসঙ্গে দৈনিক গড় লেনদেন ৩০ দশমিক ১১ শতাংশ কমেছে। তবে গত সপ্তাহে বাজার মূলধন বেড়েছে শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে, আর গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হয়।
সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩২ দশমিক ৬১ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৫২ শতাংশ কমে ছয় হাজার ২৯৭ দশমিক ২৫ পয়েন্টে স্থির হয়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ৪ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৩৬ শতাংশ কমে এক হাজার ৩৬৮ দশমিক ০৫ পয়েন্টে পৌঁছায়। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক ৯ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ কমে দুই হাজার ১৪২ দশমিক ৯৪ পয়েন্টে স্থির হয়। মোট ৪০৩টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৫টির, কমেছে ১৪৪টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২০৬ কোম্পানির শেয়ারদর। লেনদেন হয়নি ১৮টির। দৈনিক গড় লেনদেন হয় ৪১৪ কোটি ২৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন হয় ৫৯২ কোটি ৭৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ৩০ দশমিক ১১ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট টার্নওভার বা লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ হাজার ৭১ কোটি ৪১ লাখ ৮০ হাজার টাকা, আগের সপ্তাহে যা ছিল ২ হাজার ৯৬৩ কোটি ৮৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে টার্নওভার কমেছে, যা শতাংশের হিসাবে ৩০ দশমিক ১১ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইর টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি এমবি ফার্মাসিউটিক্যালস। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮ কোটি ৬৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা ন্যাশনাল টি কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১০ দশমিক ৯৯ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৪৯ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা যথাক্রমে আরামিট লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১০ দশমিক ০৫ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৯০ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ৮ দশমিক ১২ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৬৫ কোটি ৫৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
অন্যদিকে গত সপ্তাহে লেনদেনের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ৩ কোটি ২৭ লাখ ৮০ হাজার ২০৬টি শেয়ার ১০৪ কোটি ১ লাখ টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ০২ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১১ দশমিক ০৮ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে গত সপ্তাহে লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে ফু-ওয়াং ফুড লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ৩ কোটি ২ লাখ ৬১ হাজার ৩৪৮টি শেয়ার ১০১ কোটি ৭০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ৮ দশমিক ৭২ শতাংশ কমেছে। তালিকায় তৃতীয় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ১২ লাখ ৯১ হাজার ৭৭৭টি শেয়ার ৮০ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৯০ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়েছে। এরপরের অবস্থানে থাকা সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেডের গত সপ্তাহে মোট ৩২ লাখ ২৯ হাজার ৭৩৩টি শেয়ার ৬৯ কোটি ১৪ লাখ ৬০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১ দশমিক ৭২ শতাংশ কমেছে। আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের গত সপ্তাহে মোট ৬৯ লাখ ২৬ হাজার ৫৩৬টি শেয়ার ৬৫ কোটি ৫৫ লাখ ৫০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ১৬ শতাংশ।