ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ইনভেস্টর প্রটেকশন ফান্ড সংশ্লিষ্ট শাখায় যেসব কর্মকর্তা কর্মরত আছেন তাদের বদলি করার নির্দেশ দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বিএসইসি থেকে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ইনভেস্টর প্রটেকশন ফান্ড নিয়ে বিএসইসি ইতোপূর্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। ১০ বছর আগে থেকে এখন পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ইনভেস্টর প্রটেকশন ফান্ড সংশ্লিষ্ট শাখায় যেসব কর্মকর্তা কর্মরত আছেন তাদের বদলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। তদন্ত কাজে যেন কোন প্রভাব না পড়ে সেজন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও ডিএসইর তিন সদস্যের জমাকৃত অর্থ ইনভেস্টর প্রটেকশন ফান্ডে জমা দেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করার কথাও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
জানা গেছে, ডিএসইর সদস্য আহাসানুর রহমান, আব্দুল আহাদ ও মোহাম্মদ হোসাইনের ২০১৮ সাল পর্যন্ত জমাকৃত অর্থ ইনভেস্টর প্রটেকশন ফান্ডে জমা দেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেছে বিএসইসি। এই তিন সদস্যের ২০১৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত জমাকৃত অর্থ আইটি ইন্সফ্রাসট্রাকচারের উন্নয়নের জন্য চেয়ে আবেদন করেছিল ডিএসই। বিএসইসি ডিএসইর সেই আবেদন গ্রহণ করেনি। এই অর্থও ইনভেস্টর প্রটেকশন ফান্ডে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা। অপর সদস্য মোহাম্মদ ইদ্রিসের অর্থের দাবি উত্থাপিত হওয়ায় সেটি পৃথক হিসাবে জমা করতে ডিএসইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ক্রেষ্ট সিকিউরিটিজ, বানকো সিকিউরিটিজ, তামহা সিকিউরিজি এবং শাহ মোহাম্মদ সগীর অ্যান্ড কোম্পানির ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের দাবি পরিশোধের জন্য সময় চেয়ে ডিএসই বিএসইতে আবেদন করেছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের দাবি পরিশোধের জন্য ১৩ জুলাই পর্যন্ত সময় ডিএসইকে দিয়েছে বিএসইসি।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন ইনভেস্টর প্রটেকশন ফান্ড নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিএসইসি। এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে বিএসইসির পরিচালক মো. মনসুর রহমানকে। বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, বিএসইসির উপ-পরিচালক বনি ইয়ামিন খান, বিএসইসির সহকারী পরিচালক অমিত কুমার সাহা এবং সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশের (সিডিবিএল) জিএম রাকিবুল ইসলাম চৌধুরীকে তদন্ত কমিটির সদস্য করা হয়েছে।