শেয়ারবাজারে কোম্পানির লেনদেনের প্রথমদিনে শেয়ার দরে হ্রাস-বৃদ্ধির সীমা (সার্কিট ব্রেকার) চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কমিশনের ৭০৪তম নিয়মিত সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মো. সাইফুর রহমান সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
সম্প্রতি ডিএসই কর্তৃপক্ষ কোম্পানির লেনদেনের প্রথমদিনে সার্কিট ব্রেকার চেয়ে কমিশনে প্রস্তাব করে। এক্ষেত্রে তারা লেনদেনের প্রথম ২দিন ৫০ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার চেয়েছিলেন। এরই আলোকে কমিশন আজকের সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরপরে অর্থাৎ তৃতীয় কার্যদিবস থেকে যথানিয়মে ১০ শতাংশ করে সার্কিট ব্রেকার থাকবে।
লেনদেনের প্রথমদিনে কোম্পানির শেয়ারে অস্বাভাবিক উত্থান হওয়ায় ডিএসই ওই প্রস্তাব দিয়েছিল। কারন ওই অস্বাভাবিক উত্থান পরবর্তীতে স্বাভাবিকভাবেই কমে যায়। এতে একটি পক্ষ লাভবান হলেও আরেকটি পক্ষকে লোকসান গুণতে হয়।
প্রস্তাবিত সার্কিট ব্রেকার অনুযায়ি, একটি ১০ টাকার ইস্যু মূল্যের শেয়ার লেনদেনের প্রথমদিন সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ বা ৫ টাকা বেড়ে ১৫ টাকা হতে পারবে। আর ২য় দিন ওই ১৫ টাকার উপরে ৫০ শতাংশ বা ৭.৫০ টাকা বেড়ে ২২.৫০ টাকা হতে পারবে। ফলে আগামিতে ১০ টাকার শেয়ার লেনদেনের প্রথমদিনে অযৌক্তিকভাবে ৭০-১০০ টাকা হওয়ার সুযোগ থাকবে না।
এ বিষয়ে ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, সার্কিট ব্রেকারের অভাবে প্রথমদিনের লেনদেনে প্রায় সব শেয়ার অতিমূল্যায়িত হয়েছে। যা শেয়ারবাজারকে ক্ষতির মুখে ফেলেছে। যে কারনে কমিশন, ডিএসই ও সিএসইকে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার স্বীকার হতে হয়েছে। এই কারনে দীর্ঘদিন ধরে লেনদেনের প্রথমদিনে সার্কিট ব্রেকারের দাবি ছিল। ডিএসইর পর্ষদ এবং ব্যক্তিগতভাবেও কমিশনে এই দাবি জানিয়েছে। কমিশন আমাদের সেই দাবিকে বাস্তবায়ন করেছে। এজন্য কমিশনকে আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন।
তিনি বলেন, লেনদেনের প্রথমদিকে অতিমূল্যায়নের কারনে কোম্পানিগুলো উচ্চ দরে সূচকে যুক্ত হয়। কিন্তু পরবর্তীতে শেয়ার দর যৌক্তিক পর্যায়ে নেমে আসায় সূচকে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। যাতে প্রতিবছর শেয়ারবাজারে কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলেও সূচক তার প্রতিফলন দেখা যায় না।
ডিবিএ’র সভাপতি শাকিল রিজভী বলেন, লেনদেনের প্রথমদিনে সার্কিট ব্রেকার প্রয়োগের মাধ্যমে কমিশন সুচিন্তিত এবং যুগোপযোগি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আশা করি এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর যৌক্তিক মূল্যায়ন হবে। এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীসহ শেয়ারবাজার উপকৃত হবে।
শেয়ারবার্তা / হামিদ