টানা চার দিন দরপতনের পর অবশেষে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে সূচক বাড়ল শেয়ারবাজারে। তবে দুই মাস পর লেনদেন নেমে গেল পাঁচশ কোটি টাকার নিচে। বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করে দিতে চাইছেন। তবে কম দামেও ক্রেতার দেখা মিলছে না। ঈদুল ফিতরের আগে থেকে একটু একটু করে গতি ফিরতে থাকা শেয়ারবাজারের এই উল্টো যাত্রা বিনিয়োগকারীদের আবার হতাশ করছে।
আগের চার দিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৭৮ পয়েন্ট। আগের দুই মাস ধরে একটু একটু করে গতি ফেরা বাজারে তৈরি হওয়া স্বপ্ন এই চার দিনের পতনেই ফিকে হয়ে যায়।
গতি ফিরতে থাকা শেয়ারবাজারের উল্টোপথে যাত্রা নিয়ে জানতে চাইলে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর সংগঠন স্টক ব্রোকার অ্যাসোসিয়েশন-ডিবিএর সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও দুটি কারণের কথা তুলে ধরেছেন। একটি হল মুদ্রানীতি, অপরটি অর্থবছর শেষের মাস জুনে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর বিক্রয়চাপ।
তিনি বলেন, পত্রপত্রিকায় দেখলাম মূদ্রানীতি নিয়ে অনেক লেখালেখি হচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা এগুলো অনেক হিসাব করে। এবার মূলত তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা। ব্যাংকের সুদহারের ৬ ও ৯ শতাংশের সীমা তুলে দেওয়া, রিজার্ভের নতুন ক্যালকুলেশন এবং ডলারের দাম বাজারের চাহিদার কাছে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে কথা চলছে। অনেকে হয়ত চিন্তা করছে কী হয় দেখি।
আবার জুন মাসে কিছু সেল প্রেসারও থাকে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করে লভ্যাংশ তুলে নেয়। সেটা সাধারণত মাসের শেষ সপ্তাহে হয়। তবে এবার মানি ফ্লো বেশি থাকায় ইনস্টিটিউশন হয়ত ক্যাপিটাল গেইন নিয়ে নিয়েছে আগে। আমার ধারণা, সব শেষ করে বাজার খুব দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবে।