নতুন করে সরকারের ৮ হাজার ৪৩ কোটি ২৬ লাখ ৬০ হাজার ২৩০ টাকার ইক্যুইটিকে শেয়ার ইস্যু করতে চায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ । এজন্য পরিশোধিত মূলধন ১০ হাজার কোটি থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানির পর্ষদ। বুধবার (১৪ জুন) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পাওয়ার গ্রিডের কোম্পানি সচিব জাহাঙ্গীর আজাদ জানান, সরকারের ইক্যুইটির অর্থকে শেয়ারের রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদ। পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুসারে, কোম্পানি ২০ কোটি ১০ লাখ ৮০ সাধারণ শেয়ার ইস্যু করবে। এই শেয়ার অভিহিত মূল্যের সঙ্গে আরও ১০ টাকা প্রিমিয়াম থাকবে। এছাড়াও ৭ হাজার ৬৪১ কোটি ১০ লাখ ৬০ হাজার ২৩০ টাকার প্রেফারেন্স শেয়ার ছাড়বে।
২০০৬ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানির বর্তমান অনুমোদিত মূলধন ১০ হাজার কোটি টাকা। এটাকে ১৫ হাজার কোটি টাকা টাকায় উন্নীত করা হবে। যা প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের মোট ১৩০০ কোটি অগ্রাধিকার শেয়ার, যার মূল্যমান টাকা ১৩ হাজার কোটি টাকা। ১০ টাকা ২০০ কোটি সাধারণ শেয়ার, যা মূল্যমান টাকা ২ হাজার কোটি টাকা। যা আসন্ন বিশেষ সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডারদের সর্বম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।
এছাড়াও ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ৭৬৮ কোটি ১১ লাখ ৬ হাজার ২৩ টি প্রেফারেন্স শেয়ার অগ্রাধিকার শেয়ার যার মূল্য ৭ হাজার ৬৪১ কোটি ১০ লাখ ৬০ ২৩০ টাকা।
অর্থাৎ সাধারণ ও প্রেফারেন্স শেয়ার মিলে ৮ হাজার ৪৩ কোটি ২৬ লাখ ৬০ হাজার ২৩০ টাকার সমপরিমাণের শেয়ার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) অনুমোদন ক্রমে সরকারে বিদুৎ বিভাগের অনুকূলে ইস্যু করা হবে। তার জন্য কোম্পানির বিশেষ সাধারণ সভার (ইজিএম) দিন নির্ধারণ করেছে আগামী ২ সেপ্টেম্বর। আর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ জুলাই।
ডিএসইর সূত্র জানায়, ৩০ জুন ২০২২ সাল পর্যন্ত সময়ে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ রয়েছে ৩০ হাজার ৯৯৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এর মধ্যে স্বল্প মেয়াদি ঋণ রয়েছে ৩৯৫ কোটি ২৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। আর দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ রয়েছে ৩০ হাজার ৬০৩ কোটি ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
কোম্পানির বর্তমানে সাধারণ শেয়ার সংখ্যা রয়েছে ৭১ কোটি ২৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৯১ টাকা। আরও ২০ কোটি যোগ হলে কোম্পানির সাধারণ শেয়ার সংখ্যা দাঁড়াবে ৯২ কোটিতে।
কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২২ সালে শেয়ার হোল্ডারদের মাত্র ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। অথচ ২০২১ সালেও ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।