দেশীয় কোম্পানিগুলো ব্যবসায় সম্প্রসারনের নামে নিয়মিত বোনাস শেয়ার প্রদানের মাধ্যমে মুনাফা কোম্পানিতে রেখে দেয়। তারপরেও মুনাফা বাড়ে না। অথচ বহূজাতিক কোম্পানিগুলো শত শত শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার পরে নিয়মিত মুনাফা বাড়ে। এমনকি নামমাত্র মূলধন নিয়েও দেশীয় শত শত কোটি টাকার কোম্পানির থেকে বেশি মুনাফা করে।
ঠিক এমনই ব্যবসা করে আসছে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ। কোম্পানিটির বিগত ৮ বছরের ইতিহাসে ২৫০ শতাংশের নিচে লভ্যাংশ দেওয়ার রেকর্ড নাই। ২০১৮ সালে ১০০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেওয়ার পরেও সর্বনিম্ন নগদ লভ্যাংশের এই হার। বিপরীতে দেশীয় কোম্পানিগুলোর জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়া দূরহ হয়ে উঠে। এরমধ্যে আবার থাকে বোনাস শেয়ার।
বার্জার পেইন্টসের ২০২২-২৩ অর্থবছরে (মার্চ ক্লোজিং) ৪৬ কোটি ৩৭ লাখ ৮০ হাজার টাকার পরিশোধিত মূলধন দিয়ে শেয়ারপ্রতি ৬৪.৯১ টাকা হিসেবে নিট ৩০১ কোটি ৪ লাখ টাকার মুনাফা হয়েছে।
এই মুনাফার বিপরীতে কোম্পানিটির পর্ষদ ৪০০ শতাংশ হারে ১৮৫ কোটি ৫১ লাখ টাকার নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা শেয়ারবাজারের অনেক হাজার কোটি টাকার ব্যাংকের পক্ষেও সম্ভব হয় না।
এর আগের বছরও বার্জার পেইন্টস থেকে ৪০০ শতাংশ হারে ১৮৫ কোটি ৫১ লাখ টাকার নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য ২০০৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া বার্জার পেইন্টসের পরিশোধিত মূলধনের ৯৫ শতাংশই উদ্যোক্তা/পরিচালকদের দখলে। বাকি ৫ শতাংশ শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের কাছে।
বুধবার (৩১ মে) বার্জার পেইন্টসের শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ১৮০০ টাকায়।