২০০৪ সাল থেকে চায়না মার্কেট ওপেন হওয়ায় মুন্নু সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ অনেকটা পিছিয়ে গিয়েছিল। তবে এখন সেই সংকট কেটে গেছে আর বর্তমানে কোম্পানি এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদ মাইমুনুল ইসলাম। কোম্পানির বিক্রির পরিমাণ ১ বিলিয়ন অতিক্রম করেছে এবং আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এটা ২ বিলিয়নে পৌঁছাবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ধামরাইয়ে মুন্নু সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজের নিজস্ব কারখানায় কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভায় রাশেদ মাইমুনুল ইসলাম এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নিজেদের দেশের মেটারিয়ালস হওয়ায় চায়না দ্রুত প্রোডাক্ট তৈরি করতে পারে। আমাদের প্রোডাক্ট তৈরি করতে মেটারিয়ালস আমদানি করতে হয়। আমাদের প্রোডাক্ট তৈরি করার জন্য মেটারিয়ালস রিজার্ভ রাখতে হয়। এখানে একটা বড় পরিমাণ অর্থ আটকে থাকে। আমরা প্রোডাক্ট উৎপাদনে রিসাইকেল শুরু করেছি। আমরা যোগ্যতাসম্পন্ন ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে এসেছি। আমরা নিজেদের ডিজাইন অনুযায়ী এখন পণ্য উৎপাদন করছি।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, আমরা পণ্যের গুণগত মান ঠিক রেখে পণ্য তৈরি করছি। আমাদেরকে আমাদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে।আমরা আমাদের সেলস বাড়ানোর জন্য ফেসবুকে ক্যাম্পেইন বাড়িয়েছি। দেশের সাধারণ মানুষ যাতে আমাদের শোরুমে এসে দেখেশুনে যাচাই করে পণ্য কিনতে পারে তার জন্য আমরা সিলেট বগুড়া খুলনাসহ ৪ জেলায় নতুন শোরুম খুলছি।
কোম্পানির চেয়ারম্যান আফরোজা খান কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব তার বড় ছেলে রাশেদ মাইমুনুল ইসলামকে দেন। এবং মেজ ছেলে রাশেদ সামিউল ইসলামকে পরিচালক ঘোষণা করেন। বার্ষিক সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডাররা যার অনুমোদন দেয়।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে মুন্নু সিরামিক বার্ষিক নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করে মুন্নু সিরামিকের পরিচালনা পর্ষদ।
মুন্নু সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান আফরোজা খানের সভাপতিত্বে বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির পরিচালক রাশেদ সামিউল ইসলাম। এছাড়া কোম্পানির স্বাধীন পরিচালক আনোয়ার হোসাইন ও মিনারা হাই উপস্থিত ছিলেন। বার্ষিক সাধারণ সভা সঞ্চালনা করেন কম্পানি সেক্রেটারি মো. নাসির উদ্দিন।
শেয়ারবার্তা / সাইফুল