এক খবরকে কেন্দ্র করে’ মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার দর ৩৫ শতাংশ বাড়ে বলে জানিয়েছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চার পরিচালকের শেয়ার কিনে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনায় বসতে যাচ্ছে মেহমুদ ইক্যুইটিজ। এজন্য মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের চার পরিচালকের শেয়ার কিনার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছিল বিএসইসি। আর সেই সেই শেয়ার স্থানান্তরের সময় বাড়ানোর আবেদন করে মেহমুদ ইক্যুইটিজ। এজন্য তিন মাস সময় দিয়েছে বিএসইসি।
এ বিষয়ে সম্প্রতি কোম্পানি মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ ও মেহমুদ ইক্যুইটিজের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে তিন মাসের মধ্যে ৩ ধাপে শেয়ার কেনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে গত ২৪ এপ্রিল শেয়ারটির দর ছিল ২৪ টাকা ৫০ পয়সা। এর পর দর বাড়তে বাড়তে ১৮ মে ৩৩ টাকা ১০ পয়সায় দাড়ায়। এ সময়ে দর বাড়ে আট টাকা ৬০ পয়সা বা ৩৫ শতাংশের বেশি।
গত ১৫ মে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে জানা যায়, সম্প্রতি অস্বাভাবিকভাবে শেয়ার দর বাড়ানোর কারণ জানতে চেয়ে মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজকে নোটিশ দেয় ডিএসই। জবাবে কোম্পানিটি জানায় শেয়ার দর অস্বাভাবিক বাড়ার পেছনে তাদের কাছে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।
এর ১৭ মে ডিএসইর মাধ্যমে জানা যায়, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের করপোরেট শেয়ারহোল্ডার আসাদুর রহমান মির্জা, ডিরেক্টর মো. ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী, ডিরেক্টর রফিকুল মোর্শেদ যথাক্রমে ৭,৯৮৭০৫, ৩৭২৫৯৯, ও ৭২৭৫৫৩টি শেয়ার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) অধীনে বিক্রি করেছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, সম্প্রতি এই খবরটি ইতিবাচকভাবে প্রচার করেই কোম্পানিটির শেয়ার দর বাড়িয়ে থাকতে পারে কোনো চক্র। কারণ সর্বশেষ ২০২০ সালে বিনিয়োগকারীদের মাত্র ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ। আর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এটি একটি লোকসানি প্রতিষ্ঠান।
ডিএসইতে দেওয়া কোম্পানির তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ২১ পয়সা লোকসান করে মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ।